শসার খোসা ফেলছেন? অজান্তেই শরীরের ক্ষতি করছেন!

গ্রীষ্মের দাবদাহে শরীর যখন হাঁসফাঁস করছে, তখন এক গ্লাস ঠান্ডা শসার রস বা এক টুকরো শসা যেন নিমেষে শান্তি এনে দেয়। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা থেকে শুরু করে হজমে সাহায্য করা পর্যন্ত, শসার গুণাগুণ অনেক। তবে অনেকেই শসা খাওয়ার আগে তার খোসা ছাড়িয়ে ফেলেন। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন, এই অভ্যাস শরীরের জন্য একেবারেই ভালো নয়। বিশেষ করে কচি সবুজ শসার খোসা তো আরও বেশি উপকারী।

তাঁদের মতে, শশার খোসাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন থাকে। যখন খোসা ছাড়িয়ে ফেলা হয়, তখন এই গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানগুলোও বাদ পড়ে যায়। শরীরে জলের ঘাটতি মেটাতে শসার জুড়ি মেলা ভার। এর পাশাপাশি, শসা শরীরকে ঠান্ডা রাখতেও সাহায্য করে। খোসার মধ্যে থাকা ফাইবার হজমক্ষমতাকে উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে ফ্রি র‍্যাডিক্যালের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও, শশার খোসাতে ভিটামিন কে, ভিটামিন সি এবং বিভিন্ন খনিজ লবণও present থাকে যা শরীরের জন্য অপরিহার্য।

পুষ্টিবিদরা আরও জানাচ্ছেন, শসা একটি কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার, যা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। কিন্তু খোসা বাদ দিলে এর পুষ্টিগুণ অনেকটাই কমে যায়। তাই, কচি শসা সবসময় খোসাসহ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। তবে হ্যাঁ, শসা ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া অবশ্যই জরুরি, যাতে কোনো ধুলো বা রাসায়নিক দ্রব্য শরীরে প্রবেশ করতে না পারে।

সুতরাং, এর পর থেকে শসা খাওয়ার আগে দু’বার ভাবুন। খোসা ছাড়িয়ে কি আপনি অজান্তেই শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান বাদ দিচ্ছেন না তো? শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখতে কচি শসা খোসাসহ খাওয়ার অভ্যাস করুন, এমনটাই মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy