শরীরের পেশী গঠনে প্রোটিনের ভূমিকা অনেক। এছাড়াও রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে ইস্ট্রোজেন হরমোন, সুস্থ থাইরয়েডসহ শরীরের সামগ্রিক সুস্থতায় পর্যাপ্ত প্রোটিনের প্রয়োজন। প্রোটিন আমাদের শরীরের যাবতীয় গঠনের কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মূলত প্রোটিন ছাড়া আমাদের শরীরের অনেক কাজই সংঘটিত হতে পারে না। তাই আমাদের প্রোটিনের চাহিদা মেটানোর জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ প্রোটিন ছাড়া আমাদের জীবন চালানো অত্যন্ত কঠিন হয়ে উঠতে পারে।
প্রতিদিন পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ করা না হলে শরীরে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। তবে কীভাবে বুঝবেন আপনার শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি রয়েছে? কয়েকটি শারীরিক উপসর্গই জানান দেবে যে আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের অভাব আছে কি না-
প্রোটিন জাতীয় খাবার অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা রাখে। তবে পর্যাপ্ত প্রোটিন না খেলে বারবার ক্ষুধা লাগা স্বাভাবিক।
রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে প্রোটিনের ঘাটতি। এজন্য ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য প্রোটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখা উচিত ডাল, রাজমা, মাছ, ডিম, বাদাম ইত্যাদি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার।
শরীরের প্রোটিনের ঘাটতির আরও একটি লক্ষণ হলো চুল পড়া। এমনকি পর্যাপ্ত প্রোটিনের অভাবে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যেতে পারে।
প্রোটিন ত্বকের যে কোনো ক্ষতস্থান দ্রুত সারাতে সাহায্য করে। তবে অনেকদিন ধরে কোনো ক্ষত যদি না শুকায় সেক্ষেত্রে বুঝতে হবে শরীরের প্রোটিনের ঘাটতি রয়েছে।
সব সময় কি শরীরে ক্লান্ত লাগে? এটিও হতে পারে প্রোটিনের অভাব। কারণ প্রোটিন শরীর চনমনে রাখতে সাহায্য করে। তাই প্রোটিনের ঘাটতি শরীরে একটা ক্লান্তি ভাব এনে দেয়।
প্রোটিনের অভাব হলে যকৃতের ওপর চাপ পড়তে থাকে। ফলে হাত-পা ফুলে যেতে থাকে। কারও ক্ষেত্রে চোখও ফুলে যায়। তেমন কোনও লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পারমর্শ নিতে হবে।
এটি প্রোটিনের অভাবের সবচেয়ে বড় লক্ষণ। সাধারণত নখের রং গোলাপি হয়। কিন্তু প্রোটিনের ঘাটতি হলে নখ সাদা হয়ে যায়।
কী ভাবে প্রোটিনের জোগান পূর্ণ করবেন-
শরীরের প্রোটিনের অভাব দূর করার জন্য ডিম, দুধ, দই, পনীর, মুরগির মাংস, মুসুর ডাল, ফল, সবজি, ব্রকোলি, বাদাম ও ওটসের মতো খাদ্য উপাদান গ্রহণ করা উচিত। এর ফলে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন লাভ করতে পারবে।