শরীরে জিঙ্কের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানেন কি? না জানলে জেনেনিন

জিঙ্ক শরীরের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান হিসেবে বিবেচিত। তবে এটি  আপনার শরীর প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদন বা সংরক্ষণ করতে পারে না। এ কারণে আপনাকে
জিঙ্কসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। শরীরের অসংখ্য প্রক্রিয়ার জন্য জিঙ্কের প্রয়োজন হয়।

বিজ্ঞাপন

এর মধ্যে রয়েছে

>> বংশবিস্তারে।
>> এনজাইমেটিক প্রতিক্রিয়ায়।
>> রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
>> প্রোটিন সংশ্লেষণ করতে।
>> ডিএনএ সংশ্লেষণ করতে।
>> ক্ষত নিরাময়ে।
>> বৃদ্ধি এবং বেড়ে ওঠায় সাহায্য করে।

জিঙ্ক প্রাকৃতিকভাবে উদ্ভিদ এবং প্রাণী থেকে পাওয়া যায়। যেসব খাবারে প্রাকৃতিকভাবে এই খনিজটি থাকে না সেগুলো হলো, সিরিয়াল বা কর্নফ্লেক্স, স্ন্যাক বার, বেকিং ময়দা ইত্যাদি এগুলোতে ব্যবহার করা হয় সিন্থেটিক জিঙ্ক। আপনি জিঙ্ক সাপ্লিমেন্ট বা মাল্টিনিউট্রিয়েন্ট সাপ্লিমেন্টও গ্রহণ করতে পারেন।

শরীরে জিঙ্কের ভূমিকা

>>  জিঙ্ক  আপনার শরীরে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া দ্বিতীয় খনিজ, যেটা আয়রনের পর  প্রতিটি কোষে উপস্থিত থাকে।

>> ৩০০টির বেশি এনজাইমের কার্যকলাপের জন্য জিঙ্ক প্রয়োজন, যা বিপাক, হজম, স্নায়ু ফাংশন এবং অন্যান্য অনেক প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।

>> এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কোষগুলোর বিকাশ এবং কার্যকারিতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

>> এই খনিজটি ত্বকের স্বাস্থ্য, ডিএনএ সংশ্লেষণ এবং প্রোটিন উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন।

>> দেহের বৃদ্ধি এবং বিকাশ জিঙ্কের ওপর নির্ভর করে। কারণ কোষের বৃদ্ধি এবং বিভাজনে এর ভূমিকা রয়েছে ।

>> আপনার স্বাদ এবং গন্ধের ইন্দ্রিয়গুলোর জন্যও জিঙ্ক প্রয়োজন। জিঙ্কের অভাব আপনার স্বাদ বা গন্ধের ক্ষমতা হ্রাস করে দিতে পারে।

শরীরে ঘাটতির লক্ষণ

মারাত্মক জিঙ্কের ঘাটতি অনেক কমই দেখা যায়। তবে এর লক্ষণগুলো হতে পারে, বৃদ্ধি বা বেড়ে ওঠায় বাধা, ত্বকে ফুসকুরি ওঠা, ডায়রিয়া, ক্ষত সহজে সেরে না ওঠা এবং অনেক সময় ব্যবহারেও পরিবর্তন আসতে পারে। তবে মাঝে মাঝে হালকা ধরনে জিঙ্কের অভাব হতে পারে। হালকা জিঙ্কের অভাবের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে ডায়রিয়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, চুল পাতলা হওয়া, ক্ষুধা কমে যাওয়া, মেজাজের ব্যাঘাত, শুষ্ক ত্বক, ক্ষত নিরাময় আস্তে হওয়া। তবে যাদের জিঙ্ক ঘাটতি হতে পারে তারা হলেন

>>গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রোগে যারা ভুগছেন
>> নিরামিষভোজীরা
>> গর্ভবতী বা যারা বুকের দুধ খাওয়ান
>> যাদের কিনডি সমস্যা আছে ইত্যাদি।

জিঙ্কের উৎস

মাংস, মাছ, ডাল, বিভিন্ন ধরনের বীজ, বাদাম, দুধ, দই, পনির, ডিম, লাল চাল, কিছু সবজি, যেমন-মাসরুম, মটরশুঁটি ইত্যাদি।bs

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy