হার্ট অ্যাটাক এখন শুধু বয়স্কদের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে না, কমবয়সীরাও এতে আক্রান্ত হয়ে অকালে মৃত্যুবরণ করছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিবছর হার্ট অ্যাটাকের কারণেই অধিকাংশ মানুষ মারা যান।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেশ উদ্বেগজনক। এর একটি কারণ হলো, হৃদরোগের লক্ষণ অনেক সময়ইড প্রকাশ পায় না। আগে থেকে সচেতন না হওয়ার কারণে সঠিক সময়ে তা প্রতিরোধ করাও সম্ভব হয়ে ওঠে না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, মানসিক উদ্বেগ সব মিলিয়েই বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা। এই উচ্চ রক্তচাপের হাত ধরেই শরীরে বাসা বাঁধছে হৃদরোগ। ঝুঁকি বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের।
‘আমেরিকান সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ এর দেওয়া তথ্য অনুসারে, বুকের মাঝখানে বা বুকের বাঁ দিকে চিনচিনে ব্যথা, চাপ, অস্বস্তি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হৃদরোগের প্রাথমিক লক্ষণ।
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো পুরুষ ও নারীর ক্ষেত্রে আলাদা হতে পারে। তবে দু’ক্ষেত্রেই সাধারণ একটি উপসর্গ হলো বুকে ব্যথা। এর সঙ্গে নারীদের ক্ষেত্রে অন্যান্য আরও কিছু সাধারণ লক্ষণ প্রকাশ পায় যেমন- বমি ভাব, শ্বাসকষ্ট, পিঠ বা চোয়ালের ব্যথা ইত্যাদি।
তবে অনেকেরই হয়তো জানা নেই যে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষন ফুটে ওঠে কানেও। এ বিষয়ে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হার্ট অ্যাটাকের আগাম সঙ্গেত হিসেবে কানের লতি কুঁচকে যাওয়া, কান নীল হয়ে যাওয়াসহ কানে ব্যথার মতো কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
অনেকেই বিষয়টি এড়িয়ে যান। তবে হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করতে হলে এর আগাম সব লক্ষণ জেনে রেখে সতর্ক থাকতে হবে। তবে শুধু কানের উপসর্গগুলো নয়, এর সঙ্গে যদি বুকে ব্যথা থাকে তাহলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।