আজকাল সানগ্লাস ফ্যাশন হিসেবেই ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে সবাই যে ফ্যাশনের অনুষঙ্গ হিসেবে সানগ্লাস ব্যবহার করেন তা কিন্তু নয়। চোখ সুরক্ষিত রাখতেই মূলত সানগ্লাস ব্যবহার করা হয়। সানগ্লাস রোদ এবং সূর্যের ক্ষতিকর অতি-বেগুনি রশ্মির হাত থেকে চোখতে নিরাপদ রাখতে সহায়তা করে।
সূর্যের ক্ষতিকর অতি-বেগুনি রশ্মি চোখের ভেতরের অংশের ক্ষতি করে। এখানেই শেষ নয়। চোখের পাতা, চোখের চারপাশ, ত্বকে জ্বালাভাব, কালি পড়া, ভাঁজ পড়া ইত্যাদি সমস্যা থেকে বাঁচতে সানগ্লাস পড়া প্রয়োজন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সানগ্লাস শুধু পড়লেই হবে না। অবশ্যই ভালো মানের সানগ্লাস পড়তে হবে। ভালো সানগ্লাসের ব্যবহার ও নিয়মিত যত্নে আপনার চোখ নিরাপদ থাকবে।
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, অনেক সময় ধরে রোদে থাকা উচিত নয়। বেশি সময় যদি আপনি রোদে থাকেন তাহলে চোখে জ্বালাপোড়া, গ্লুকোমা, ছানিপড়া ও বয়স বাড়ার সঙ্গে চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া শঙ্কা বেড়ে যায়। তাই দীর্ঘ সময় রোদে থাকা যাবে না। আর যদি থাকতেই হয় তবে অবশ্যই সানগ্লাস পড়তে হবে।
হারভার্ড মেডিকেল স্কুলের অফথ্যমোলজির অধ্যাপক লুই পাসকোয়ালে বলেন, আমরা যখন ঘরে থাকি তখন সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি চোখের ক্ষতি করে না। তবে বিপত্তি ঘটে তখন যখন দীর্ঘ সময় রোদে বাইরে থাকা হয়। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি সরাসরি চোখের ক্ষতি করতে পারে। তাই বাইরে বের হলেই ইউভি রশ্মি আটকাতে পারে এমন চশমা পড়তে হবে।
চলুন এবার জেনে নেয়া যাক রোদে কেন সানগ্লাস ব্যবহার করা জরুরি-
>> দীর্ঘ সময় রোদে থাকলে বয়স বাড়ার সঙ্গে চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া শঙ্কা বেড়ে যায়। তাই সানগ্লাস ব্যবহার জরুরি।
>> সূর্যের ক্ষতিকর অতি-বেগুনি রশ্মি চোখের ভেতরের অংশের ক্ষতি করে ও চোখে ছানি পড়ে। তাই সানগ্লাস ব্যবহার করা জরুরি।
>> দীর্ঘ সময় রোদে থাকলে চোখের পাতা, চোখের চারপাশ, ত্বকে জ্বালাভাব, কালি পড়া, ভাঁজ পড়া সমস্যার দেখা দেয়। এসব ক্ষতি এড়াতে সানগ্লাস ব্যবহার করুন।
>> সূর্যের ক্ষতিকর অতি-বেগুনি রশ্মি কর্নিয়া ও অক্ষিপটের ক্ষতি করে। তাই চোখকে রক্ষা করতে সানগ্লাস ব্যবহার করতে হবে। সানগ্লাস চোখকে রশ্মি থেকে পুরোপুরি রক্ষা করে।
>> চোখে প্রচুর আলো পড়লে ‘আইরিস’ ছোট হওয়া চোখ কুচকে যেতে পারে। এতে অক্ষিপটের ক্ষতি হয়। ভালো মানের রোদচশমা ব্যবহার আলোর পরিমাণ ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে।
>> লোহা, নাইলন, প্লাস্টিক, টাইটেনিয়ামসহ বিভিন্ন উপাদানে চশমা তৈরি করা হয়।এসব উপাদানের রয়েছে নিজস্ব সুবিধা এবং অসুবিধা। তাই নিজের প্রয়োজনীয় অনুযায়ী চশমা কিনুন।