রোজ ডিম খাওয়া কি স্বাস্থ্যকর? বিজ্ঞান কী বলছে দেরি না করে জেনেনিন

ডিম আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অত্যন্ত পরিচিত এবং জনপ্রিয় খাবার। শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক, প্রায় সকলেরই নিয়মিত ডিম খাওয়ার অভ্যাস দেখা যায়। পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ডিমে প্রায় ৭৫ ক্যালোরি, ৫ গ্রাম ফ্যাট, ৬ গ্রাম প্রোটিন, ৬৭ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম, ৭০ গ্রাম সোডিয়াম এবং ২১০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল বিদ্যমান। শুধু তাই নয়, ডিম ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন বি ১২-এরও একটি চমৎকার উৎস।

তবে অনেকের মনেই একটি প্রশ্ন প্রায়শই ঘোরাফেরা করে – প্রতিদিন কি ডিম খাওয়া উচিত? আসুন, এই প্রশ্নের উত্তর বিজ্ঞানের আলোকে জেনে নেওয়া যাক।

দীর্ঘদিন ধরে একটি ধারণা প্রচলিত ছিল যে ডিম খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা হৃদরোগের জন্য ক্ষতিকর। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা এই ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। গবেষণা বলছে, ডিমের মধ্যে যে কোলেস্টেরল থাকে, তা অন্যান্য খাদ্য উৎস থেকে প্রাপ্ত কোলেস্টেরলের তুলনায় কম ক্ষতিকর।

অনেক মধ্যবয়স্ক ব্যক্তিই শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধির আশঙ্কায় ডিম খাওয়া বন্ধ করে দেন। কিন্তু সম্প্রতি একদল গবেষক জানিয়েছেন, সুস্থ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়া তেমন বিপজ্জনক নয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন সুস্থ মানুষ খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় ৩০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল গ্রহণ করতে পারেন। সেই হিসেবে প্রতিদিন একটি ডিম খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা খুব বেশি বাড়ার সম্ভাবনা থাকে না।

তবে মধ্যবয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা সপ্তাহে তিনটির বেশি ডিম না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।

যদি ডিমের কোলেস্টেরল নিয়ে মনে কোনো দ্বিধা থাকে, তাহলে ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে শুধু সাদা অংশ খাওয়া যেতে পারে। তবে মনে রাখা জরুরি, প্রতিটি মানুষের শরীর আলাদা এবং তার নিজস্ব চাহিদা রয়েছে। তাই যদি কোনো স্বাস্থ্য संबंधी সমস্যা থাকে অথবা খাদ্য ও পুষ্টি নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকে, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডিম খাওয়া উচিত।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy