অনেক পুরুষকেই সংসারে শান্তি বজায় রাখতে নানা অজুহাত বা মিষ্টি কথায় বউকে সামলাতে হয়। বিশেষ করে স্ত্রী যদি একটু খিটখিটে মেজাজের হন, তাহলে তো কথাই নেই! তবে এটা মনে রাখা জরুরি, নারীরা সব সময় অকারণে রাগ করেন না। কিছু ক্ষেত্রে আপনারও ভুল থাকতে পারে। আর নারীদের রাগ একটু বেশি থাকে, এটা তো অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে এখন থেকে রাগী বউকে সামলাতে আর মিথ্যার আশ্রয় নেওয়ার প্রয়োজন নেই। কিছু সহজ কৌশল অবলম্বন করে আপনি আপনার স্ত্রীর রাগ কমাতে পারবেন।
১. সম্ভাব্য প্রশ্নের জন্য প্রস্তুত থাকুন: আপনার স্ত্রী কোনো বিষয়ে রাগ করলে, আগে থেকেই মনে মনে চিন্তা করে নিন সেই বিষয়ে তিনি কী কী প্রশ্ন করতে পারেন এবং আপনি কীভাবে সেগুলোর উত্তর দেবেন। এর মানে এই নয় যে আপনাকে মিথ্যা বলতে হবে, বরং একটু গুছিয়ে ও কৌশলে কথা বলুন।
২. নিজের দোষ স্বীকার করুন: যদি ভুলটা সত্যিই আপনার হয়ে থাকে, তাহলে দেরি না করে আগেভাগেই নিজের দোষ স্বীকার করে নিন। আন্তরিকভাবে সেই ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করুন। দেখবেন, আপনার স্ত্রী হয়তো প্রথমে রাগ করবেন, কিন্তু আপনার সততা দেখে সেই রাগ খুব দ্রুত কমে যাবে।
৩. সোশ্যাল মিডিয়ায় দুঃখ প্রকাশ নয়: আপনার স্ত্রী রাগ করেছেন বলে ভুলেও সোশ্যাল মিডিয়ার ওয়ালে দুঃখ প্রকাশ করবেন না। অথবা তার অফিসে ফুলের তোড়া বা দুঃখ প্রকাশ করে কার্ড পাঠাবেন না। এতে সে আরও অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে পারে এবং আপনার প্রতি তার রাগ কমার বদলে আরও কয়েকগুণ বেড়ে যেতে পারে।
৪. মাঝেমধ্যে সব দোষ নিজের কাঁধে নিন: ভুল যদি আপনার নাও হয়ে থাকে, তবুও মাঝেমধ্যে সব দোষ নিজের কাঁধে নিয়ে নিন! অযথা ঝগড়া করার চেয়ে সবকিছু মেনে নিয়ে চুপ থাকাটাই শ্রেয়। কারণ, সংসারে যদি দু’পক্ষই সমান রাগী হয়, তাহলে সেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।
৫. ধৈর্য ধরুন: আপনার স্ত্রী যদি অতিরিক্ত রাগী হন, তাহলে নিজেকে ধৈর্য ধরতে শিখতে হবে। আপনার মাথা ঠান্ডা না থাকলে আপনি তাকে সামলাবেন কী করে? পৃথিবীতে সব মানুষ সমান হয় না। কারো রাগ বেশি থাকে, আবার কারো কম। আপনি বরং কম রাগী হওয়ার তালিকায় নিজের নাম লিখিয়ে নিন।
৬. একা থাকতে দিন: রাগের সময় আপনার স্ত্রী’র সামনে থাকলে তার রাগ কখনোই কমবে না। তাই তাকে কিছুক্ষণ একা থাকতে দিন। রাগ কমে গেলে শান্তভাবে তার কাছে গিয়ে সবকিছু বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করুন।
এই সহজ উপায়গুলো অবলম্বন করে আপনি আপনার রাগী স্ত্রীর রাগ কমাতে পারবেন এবং সংসারে শান্তি বজায় রাখতে পারবেন। মনে রাখবেন, পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সহনশীলতাই একটি সুন্দর সম্পর্কের মূল চাবিকাঠি।