যাদের সঙ্গে তর্ক করা অনুচিত, লিস্টে রইল সেই ৭ ব্যাক্তি

তর্ক-বিতর্ক মানুষের দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হলেও কখনো কখনো এটি অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তর্কের ফলে হিংসা-বিদ্বেষ, অহংকার, এমনকি প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটতে পারে। তাই জ্ঞানী ব্যক্তিরা সবসময় তর্ক এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। বিশেষ করে ৭ ধরনের ব্যক্তির সঙ্গে কখনই তর্ক করা উচিত নয়—

১. শিক্ষকের সঙ্গে তর্ক করা অনুচিত
শিক্ষকের কাজ জ্ঞান প্রদান করা। শিক্ষার্থী সেই জ্ঞান গ্রহণ করবে কি না, সেটি তার ব্যাপার। তবে শিক্ষক যখন শিক্ষাদান করছেন, তখন তার সঙ্গে তর্ক করা তাকে বিব্রত করে এবং শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে।

২. মায়ের সঙ্গে তর্ক করা বোকামি
মা শুধু জন্মদাত্রী নন, তিনিই জীবনের প্রথম গুরু। তার সঙ্গে তর্ক করা মানে নিজের অস্তিত্বের সঙ্গে তর্ক করা। একইভাবে পিতার সঙ্গেও তর্ক করা উচিত নয়, কারণ তিনিও সন্তান গঠনের প্রধান ভূমিকা পালন করেন।

৩. সন্তানের সঙ্গে তর্কের মানে নিজের ভুল স্বীকার
সন্তানের সঙ্গে তর্ক বাধলে বোঝা উচিত যে, অভিভাবকত্বের কোথাও ভুল হয়েছে। সন্তানকে সঠিক শিক্ষা দিতে না পারার ফলেই হয়তো সে অহেতুক তর্কে লিপ্ত হচ্ছে। তাই এমন পরিস্থিতিতে চুপ থাকা এবং ধৈর্যের পরিচয় দেওয়া শ্রেয়।

৪. অতিথির সঙ্গে তর্ক না করাই শ্রেয়
বাংলা প্রবাদেই আছে— ‘অতিথি দেবতা সমান।’ অতিথির সম্মান রক্ষা করা সামাজিক শিষ্টাচারের অংশ। ক্ষণিকের জন্য বাসায় আগত অতিথির সঙ্গে তর্ক না করে সৌজন্যতা দেখানো উচিত।

৫. স্ত্রীর সঙ্গে তর্ক করে লাভ নেই
স্ত্রী একাধারে জননী, শিক্ষিকা ও জীবনসঙ্গী। তার সঙ্গে অহেতুক তর্ক মানে নিজের জীবনকেই দুর্বিষহ করে তোলা। দাম্পত্য জীবনে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও শ্রদ্ধাবোধ থাকাই সবচেয়ে জরুরি।

তর্ক যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক শুধু সম্পর্ক নষ্ট করে না, মানসিক শান্তিও কেড়ে নেয়। তাই সবার সঙ্গে নয়, সঠিক সময়ে সঠিক কথাটি বলাই শ্রেয়।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy