আমাদের সবারই কোনো না কোনো সমস্যা থাকে কারণ আমরা কেউই নিখুঁত নই। আপনি আপনার জীবনে কখনোই পুরোপারি নিখুঁত কাউকে খুঁজে পাবেন না, না আপনি নিজে শতভাগ অন্যের মনের মতো হয়ে উঠতে পারবেন। তবে সঙ্গী নির্বাচনের সময় অসতর্ক হলে মুশকিল। পুরোপুরি মনের মতো না পাওয়া যাক, কিছু বিষয়ে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া যাবে না। যে পুরুষকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন তার ভেতরে এই সাত স্বভাব থাকলে বিয়ের সিদ্ধান্ত না নেওয়াই উত্তম-
প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারী
যদি সে অনেক প্রতিশ্রুতি দেয় কিন্তু কখনোই সেগুলো পালন না করে, তাহলে তাকে নিয়ে আরেকবার ভেবে দেখার সময় এসেছে। একবার বা দুইবার ক্ষমা করা যেতে পারে তবে প্রতিদিন একইরকম দৃশ্য দেখতে দেখতে আপনি ক্লান্ত হয়ে যাবেন। এই ধরনের মানুষেরা আসলে অন্যকে বোকা বানাতে বেশি পছন্দ করে।
নিয়ন্ত্রণকারী
এই খাও, ওটা পরো, এভাবে হাঁটা, কোথায় তুমি? আপনাকে কি প্রতিদিন তার কাছ থেকে এগুলো শুনতে হয়?। এ ধরনের প্রশ্ন শুরুতে সুন্দর বলে মনে হয় কারণ আপনি তাকে যত্নশীল হিসাবে মনে করতে পারেন। তবে দীর্ঘদিন এভাবে চলতে থাকলে একটা সময় আপনার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসতে চাইবে। যে আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে, আপনি কি নিশ্চিত যে তার সঙ্গেই আপনি সারা জীবন থাকতে চান?
যত্নশীল না হলে
সম্পর্কের ক্ষেত্রে দেওয়া, নেওয়া কিংবা শেয়ারিং সমান সমান হওয়া উচিত। পুরুষটি যদি এই বিষয়ে বিশ্বাস না করে তবে আপনার উচিত তার সঙ্গে জীবন না জড়ানো। আপনি একজন ভালো সঙ্গী খুঁজে নিন যিনি শেয়ারিং এর বিষয়ে আপনার মতোই যত্নশীল। এমন কাউকে যদি খুঁজে পান তবে মা-বাবার পরে তাকেই আপনার স্থান দেওয়া উচিত।
একই ভুল বারবার করলে
তিনি একই ভুল বারবার করেন এবং সরি বলেন? দুঃখিত কোনো কমা বা ফুলস্টপ নয়। এটি একটি আবেগ যা অনুভব করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে যাতে একই ভুলের পুনরাবৃত্তি না হয়। তাকে একই ভুল বারবার করার সুযোগ দেবেন না। কারণ তাকে সুযোগ দেওয়ার কারণে আপনি নিজেও অপরাধী হয়ে উঠবেন।
আপনার মতামতকে গুরুত্ব না দিলে
যেকোনো সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট মানুষগুলোর মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। বিয়ের মতো সম্পর্কের ক্ষেত্রে তা আরও বেশি প্রাধান্য পাওয়া উচিত। কারণ দুজনের মতামত মিলেই চলে সংসার। তিনি যদি আপনার মতামতের কোনো গুরুত্ব না দেন তবে তার বিষয়ে আরেকবার ভেবে দেখুন। আপনার মতামত সবসময় তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত।
মিথ্যাবাদী
পৃথিবীতে অনেক প্যাথলজিকাল মিথ্যাবাদী আছে, তাই তাদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা আর অপ্রয়োজনীয় চাপকে আমন্ত্রণ জানানো একই কথা। টুকটাক মিথ্যা বা ছোটখাটো বিষয় বলতে না চাওয়া ভিন্ন কথা। কিন্তু যদি তিনি ক্রমাগত মিথ্যা বলতে থাকেন তবে কোনোভাবেই তাকে বিয়ে করার কথা ভাববেন না।
সারাক্ষণ লেগে থাকতে চাইলে
সবাই চায় সঙ্গীর ভালোবাসাময় উষ্ণ হাতটি তাকে ধরে রাখুক। তাই বলে চব্বিশ ঘণ্টাই! যদি সে আপনাকে কারও সঙ্গে মিশতে দিতে না চায়, বন্ধু, পরিজন এমনকি মা-বাবার সঙ্গে সময় কাটাতে চাইলেও তিনি আপনাকে নিজের পাশে রাখতে চান তাহলে তার বিষয়ে আরেকবার ভাবুন। যদি তিনি অভ্যাসে পরিবর্তন করেন তবে ভিন্ন কথা, আর যদি না করেন তবে এই ঝামেলা বয়ে বেড়ানোর জন্য আপনি তৈরি তো!