বাঙালির পাতে মাছ থাকবে না, তা কি হয়? ইলিশ থেকে রুই-কাতলা, মাছ আমাদের সবারই খুব প্রিয় খাবার। তবে এই প্রিয় খাবারটি খেতে গিয়েই অনেক সময় ঘটে বিপত্তি – গলায় বিঁধে যায় মাছের কাঁটা! অনেকেই এই ভয়ে সুস্বাদু ইলিশের মতো মাছ থেকেও মুখ ফিরিয়ে নেন। কিন্তু আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই! গলায় বিঁধে যাওয়া মাছের কাঁটা দূর করার জন্য রয়েছে বেশ কিছু সহজ এবং কার্যকর ঘরোয়া উপায়।
আসুন, জেনে নিই গলায় বিঁধে যাওয়া মাছের কাঁটা দূর করার সেই ৫টি সহজ কৌশল:
১. নরম ভাতের দলা:
কাঁটা বিঁধলে সবচেয়ে পরিচিত এবং কার্যকর পদ্ধতি হলো এক দলা সাদা ভাত খাওয়া। নরম ভাত ছোট কাঁটা হলে অনেক সময় গিলে ফেলার সময় ভাতের সঙ্গে পিছলে নেমে যায়। তাড়াহুড়ো না করে ধীরে ধীরে গিলে ফেলার চেষ্টা করুন।
২. পিচ্ছিল অলিভ অয়েল:
যদি গলায় কাঁটা বিঁধে যায়, তবে এক চামচ অলিভ অয়েল খেয়ে নিন। অলিভ অয়েল অন্য যেকোনো তেলের চেয়ে বেশি পিচ্ছিল। এর পিচ্ছিল গুণ কাঁটাকে গলা থেকে সহজেই পিছলে নামিয়ে দিতে সাহায্য করবে।
৩. লেবুর রসে নরম হবে কাঁটা:
হালকা গরম জলের সাথে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে সেই জল পান করুন। লেবুর অ্যাসিডিক ক্ষমতা মাছের কাঁটাকে নরম করে দিতে সক্ষম। এর ফলে কাঁটাটি সহজে নেমে যেতে পারে বা গলা থেকে উঠে আসতে পারে।
৪. ভিনিগার মিশ্রিত জল:
জলের সঙ্গে সামান্য ভিনিগার মিশিয়ে পান করতে পারেন। ভিনিগারও লেবুর রসের মতোই গলায় বিঁধে থাকা মাছের কাঁটাকে নরম করে দেয়। এই মিশ্রণটি পান করলে কাঁটা সহজেই নেমে যেতে পারে।
৫. উষ্ণ লবণ জল:
লবণ কাঁটাকে নরম করতে সাহায্য করে। তবে শুধু লবণ না খেয়ে, উষ্ণ জলে লবণ মিশিয়ে পান করুন। প্রথমে সামান্য জল উষ্ণ গরম করে নিন, তারপর তাতে বেশ খানিকটা লবণ মিশিয়ে সেই উষ্ণ লবণ জল পান করুন। এতে গলায় বিঁধে থাকা মাছের কাঁটা সহজেই নেমে যাবে।
গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা:
এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো ছোট ও নরম কাঁটার ক্ষেত্রে কার্যকর হতে পারে। তবে, যদি কাঁটা খুব বড় হয়, ব্যথা তীব্র হয়, শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, বা রক্তপাত হয়, তবে দেরি না করে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাওয়া আবশ্যক। কোনো ঝুঁকি না নিয়ে দ্রুত চিকিৎসকের সাহায্য নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
এই উপায়গুলো কি আপনার আগে জানা ছিল? আপনার অভিজ্ঞতা কেমন?