বেশি বয়সেও ত্বক থাকবে টানটান, খেতে হবে যেসব খাবার?

অত্যধিক কাজের চাপ, কর্মক্ষেত্রে প্রত্যাশা পূরণ না হওয়া, সম্পর্কের জটিলতা, অর্থনৈতিক টানাপড়েন-এমন কিছু কারণে মানসিক অবসাদ বাসা বাঁধে মনে। অবসাদকে বাড়তে দিলে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
মনে দীর্ঘস্থায়ী কোনো প্রভাব পড়তে পারে এর ফলে। তাই এমন কোনো সমস্যার মুখোমুখি হলে অতি অবশ্যই মনোবিদের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন। নয়তো সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। অবসাদের সঙ্গে লড়তে চিকিৎসকের উপর ভরসা রাখা ছাড়াও ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি খাবারে। যেগুলো মনের পাশাপাশি ভালো রাখবে শরীরও।

বাদাম
মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে বাদাম খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই রোজের খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন ধরনের বাদাম রাখতেই পারেন। বাদামে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পরিমাণ অনেক বেশি। ভিটামিনও রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। মন ভালো রাখতে বাদাম জাদুর মতো কাজ করে।

অ্যাভোকাডো
মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটে ভরপুর অ্যাভোকাডো স্নায়ুর যত্ন নেয়। একসঙ্গেই স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও এর জুড়ি মেলা ভার। অ্যাভোকাডোতে থাকা ট্রিপটোফ্যান, মস্তিষ্কের সেরাটোনিন হরমোন ক্ষরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মস্তিষ্কের প্রতিটি কোষ সচল রাখতে এই হরমোনের জুড়ি মেলা ভার।

ব্লুবেরি
মানসিক নানা সমস্যা দূর করতে ব্লুবেরি খুব উপকারী। এর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের গুণ মানসিক উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে রাখে। সেই সঙ্গে অবসাদকেও। শরীর তো বটেই, মন ভালো রাখতে খেতে পারেন ব্লুবেরি।

ব্রকোলি
শীত পড়ছে। বাজারে এখন ব্রকোলির দেখা মিলবে সহজেই। শীতকাল সর্দি-কাশির পাশাপাশি ডেকে আনে মরসুমি মনখারাপও। ঋতুকালীন মনখারাপ কাটিয়ে উঠতে পাতে রাখতে পারেন ব্রকোলি। উপকার পাবেন। এ ছাড়া মেজাজ ভালো রাখতে ব্রকোলির ভূমিকা অনবদ্য।

ডিম
শরীর কিংবা মন-যত্নে রাখতে ডিমের ভূমিকা অনবদ্য। স্নায়ুর জটিলতা এড়াতে তাই নিয়ম করে ডিম খাওয়া জরুরি। ডিমের অ্যালবুমিন উপাদান মানসিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখে। স্মৃতিশক্তির প্রখরতা বাড়াতেও ডিম খাওয়া জরুরি।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy