বিয়ের কনের জুতো হোক আরামদায়ক ও স্টাইলিশ! জেনে নিন কিছু টিপস!

বিয়ে নিয়ে প্রত্যেকের মনেই কিছু না কিছু স্বপ্ন থাকে। জীবনের এই বিশেষ দিনে কেমন করে সাজবেন, তা নিয়ে সকলেরই অনেক ভাবনাচিন্তা থাকে। বিয়ের দিনক্ষণ পাকা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়ে যায় কেনাকাটা। শাড়ি থেকে গয়না, কোনো কিছুতেই যাতে সামান্য খুঁত না থাকে, তা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন কনেরা। তবে জুতো নিয়ে অনেকেই ততটা চিন্তিত হন না।

বিয়ের জুতো বলতে অনেকেই মনে করেন তাতে পাথর, জড়ি, চুমকির কাজ থাকা চাই। ব্যবহারের ক্ষেত্রে কতটা আরামদায়ক হবে, সে বিষয়ে তেমন মাথা ঘামান না। আর এই কারণেই বিয়ের দিন জুতো পরতে গিয়ে অনেক নববধূই পড়েন বিপাকে। কারও কারও পায়ে ব্যথা হয়, আবার কারও ফোস্কা পড়ে যায়।

জুতো কিনতে যাওয়ার আগে প্রথমে স্থির করুন আপনি শুধু আরাম চান নাকি আরামের সাথে ফ্যাশনও চান – এই দুটোর মধ্যে কোনটা আপনার প্রথম পছন্দ।

বিয়ের জুতোর ক্ষেত্রে অনেকেই উঁচু হিলের (হাই হিল) জুতো পরার কথা ভাবেন। যদি আপনি তাতে স্বচ্ছন্দ্যবোধ করেন, তবে অবশ্যই হাই হিলের জুতো পরতে পারেন। তবে যদি এই ধরনের জুতো পরার অভ্যাস না থাকে, তাহলে বিয়েতে হাই হিল পরা উচিত নয়।

উঁচু হিলে অভ্যস্ত না হওয়ার কারণে চিন্তার কোনো কারণ নেই। তার পরিবর্তে আরামদায়ক ফ্ল্যাট জুতো বেছে নিতে পারেন। একটু সময় নিয়ে বাছাই করে কিনলে আরামদায়ক জুতোতেও বিয়ের দিন আপনি হয়ে উঠতে পারেন অপরূপা।

পাথর, জড়ি, চুমকির কারুকাজে ভরা জুতো অনেকেই পছন্দ করেন না। তবে বিয়ের দিন রোজকার ব্যবহারের সাধারণ জুতোও পরা ঠিক নয়। তার চেয়ে বরং বিয়ের রাতের জন্য সোনালি বা রুপোলি রঙের (গোল্ডেন বা সিলভার শেডের) জুতো বেছে নিতে পারেন। এগুলো দেখতেও সুন্দর হয় এবং আরামও দিতে পারে।

জুতো কেনার আগে ভালো করে ট্রায়াল (পরে দেখা) দিন। দু-চারবার হেঁটে দেখুন পায়ে কোনো রকম অস্বস্তি হচ্ছে কিনা। কারণ, ভারী শাড়ি ও গয়নার চাপে এমনিতেই নববধূর অস্বস্তি হতে পারে। তার উপর যদি জুতোও আরামদায়ক না হয়, তবে নববধূর কষ্টের সীমা থাকবে না। তাই বিয়ের জুতো কেনার সময় আরামের দিকটি অবশ্যই মাথায় রাখুন।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy