বিবাহিত জীবনে অশান্তি আনতে পারে এই ৬টি অন্যায্য প্রত্যাশা! বলছে বিশেষজ্ঞরা

সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে কিছু প্রত্যাশা মনে জন্ম নিতেই পারে। এটা খুবই স্বাভাবিক। আপনার সঙ্গীও চেষ্টা করে সব পূরণ করার। কিন্তু বাস্তবে অনেক প্রত্যাশা পূরণ হয় না।

সম্ভবও না। এটাও কিন্তু স্বাভাবিক। অন্যায্য প্রত্যাশাগুলো মনে যত বেশি জন্ম নিবে, এর খারাপ প্রভাব গিয়ে পড়বে আপনার বিবাহিত জীবনে। সব প্রত্যাশা পূরণ হবে এমন কোন কথা নেই।

১. আপনি হয়ত চাইবেন আপনার সঙ্গী আপনার মতো করে ভালোবাসবে। স্বামী বা স্ত্রী দুই জনের ভালোবাসা দুই রকম হতেই পারে। কারণ দুই জন ভিন্ন মানুষ।

২. বিয়ের পর আপনার বন্ধু, পরিবার সব একটি প্রাত্রে নিয়ে গুলিয়ে ফেললেন। এটা উচিত নয়। আবার বন্ধু বা বাইরের মানুষদের বেশি গুরুত্ব দিবেন, এটাও ঠিক নয়। একটা ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।

৩. বিয়ের পরে স্বামী-স্ত্রী দুই জনে মিলে ঘর সামলানো উচিত। স্বামী যদি মনে করে এটা আমার  কাজ নয় এটা মেয়েদের কাজ সেটা ভুল। দুই জনের প্রচেষ্টায় সুন্দর সংসার গড়ে ওঠে।

৪. টাকা খরচ করা যত সহজ উর্পাজন করা তত কঠিন। কত টাকা আপনি খরচ করতে পারছেন এর ওপর যদি সম্পর্ক নির্ভর করে তবে সেটা ভুল। কিছু কিনতে পারছেন না। অন্যজন দামি দামি জিনিস কিনছে। আমার কপাল খারাপ অনেক চিন্তা। এগুলো মাথায় আসলে বিবাহিত জীবন এগিয়ে নিতে কষ্ট হবে। যার যেমন উপার্যন সেটাতেই সন্তুষ্ট থাকা উচিত।

৫. স্বামী-স্ত্রী দুই জনই চাকরি করেন। তবুও মনে আশা করে আছেন স্ত্রীই সংসারের সব সামলাবে, সন্তান সামলাবে। এই আশাটা না করাই ভালো। কারণ দুই জনই চাকরি করেন, এটা মাথায় রাখা দরকার।

৬. কোন কিছুর সাথেই আপোস করবো না! এই মনোভাব আপনার বিবাহিত জীবন ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে। ধরেন এমন হলো, একটি বিষয়ে আপনাদের ভিন্ন মত। সেক্ষেত্রে যেকোন একজনকে আপোস করতে হবে। দুই জনই আশা করে বসে থাকলেন অন্য জন আপেস করবে সেটা হলে হবে না। bs

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy