ডিম একটি সহজলভ্য ও পুষ্টিকর খাবার হওয়ায় অনেকেই একসঙ্গে বেশি পরিমাণে কিনে রাখেন। বিশেষত বর্তমান পরিস্থিতিতে, যখন একবারে বেশি বাজার করার প্রবণতা বেড়েছে, তখন ডিমও এর ব্যতিক্রম নয়। সাধারণত ডিম সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়, এমনকি ফ্রিজের সঙ্গে আলাদা ট্রেও থাকে। কিন্তু সম্প্রতি এক নতুন সমীক্ষা বলছে, ফ্রিজে ডিম রাখা নিরাপদ নাও হতে পারে। এতে লাভের বদলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
ফ্রিজে ডিম রাখা কেন ক্ষতিকর?
গবেষণায় দেখা গেছে, ফ্রিজে ডিম রাখলে এর খোসার ওপর ব্যাকটেরিয়া জমে যেতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে এভাবে রাখলে সেই ব্যাকটেরিয়া ডিমের ভেতরেও প্রবেশ করে, যা খালি চোখে দেখা সম্ভব নয়। এই ধরনের ডিম খেলে পেটের নানা সমস্যা যেমন বদহজম বা পেটব্যথার মতো অস্বস্তি দেখা দিতে পারে।
পুষ্টিবিদদের মতে, ডিমের স্বাভাবিক তাপমাত্রা সংরক্ষণ করা সবচেয়ে ভালো। অতিরিক্ত ঠান্ডায় ডিম রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। ডিমের মধ্যে থাকা প্রোটিন এবং ক্যালসিয়ামের পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে সাধারণ তাপমাত্রাই যথেষ্ট।
ডিম সংরক্ষণের সঠিক উপায়
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো, ডিম একসঙ্গে বেশি পরিমাণে না কিনে, যতটা দ্রুত খাওয়া সম্ভব, ততটাই কেনা উচিত। অর্থাৎ, এক বা দুই সপ্তাহের বেশি সময়ের জন্য ডিম মজুত করে রাখা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। ডিম বাইরে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখাই সবচেয়ে নিরাপদ।
এছাড়া, বাইরের দোকানে তৈরি ডিমের খাবার খাওয়ার সময়ও সতর্ক থাকা উচিত। যদিও ভালো মানের রেস্টুরেন্ট বা দোকানে সাধারণত বেশিদিন ধরে ডিম বা অন্য কোনো খাদ্য উপাদান মজুত করা হয় না, তবুও তাজা খাবার পরিবেশন করে এমন জায়গা থেকে খাওয়া নিরাপদ।
এই নতুন তথ্য আমাদের দৈনন্দিন অভ্যাস সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে। পুষ্টিগুণ ধরে রাখতে এবং সুস্থ থাকতে ডিম সংরক্ষণের বিষয়ে আরও সচেতন হওয়া জরুরি।