পেয়ারা শুধু একটি সুস্বাদু ফল নয়, এর রয়েছে বহু পুষ্টিগুণ এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, পেয়ারা পাতার নির্যাস হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য, হজম এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সহায়ক।
তবে উপকারী হওয়া সত্ত্বেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই ফল ক্ষতিকর হতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণে পেয়ারা খেলে বা নির্দিষ্ট কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। অতিরিক্ত পরিমাণে পেয়ারা খেলে তা হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এই জন্য, বেশি পেয়ারা খেলে জল পানের পরিমাণ বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
যাদের পেয়ারা খাওয়া উচিত নয়, জেনে নিন:
১. রক্তাল্পতা, মাথাব্যথা ও কিডনির সমস্যা: পেয়ারা পাতার নির্যাস অতিরিক্ত গ্রহণ করলে রক্তাল্পতা, মাথাব্যথা ও কিডনির সমস্যা বাড়তে পারে।
২. দাঁতের সমস্যা: পাকা পেয়ারা খেতে সুস্বাদু হলেও, এটি বেশি খেলে দাঁত ব্যথা বা দাঁতের অন্যান্য রোগ হতে পারে।
৩. পেটের রোগ: অতিরিক্ত পেয়ারা খেলে পেটের রোগ দেখা দিতে পারে। এটি হজমশক্তি দুর্বল করে দিতে পারে।
৪. গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী নারী: এই সময়ে অতিরিক্ত পেয়ারা খাওয়া উচিত নয়, কারণ এর উচ্চ ফাইবার হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
৫. পেট ফাঁপা ও গ্যাস: পেয়ারায় থাকা চিনি বা ফ্রুকটোজ সহজে হজম না হলে পেট ফাঁপা ও গ্যাস হতে পারে।
৬. একজিমা: পেয়ারা পাতার নির্যাস ত্বকে জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে। তাই একজিমার সমস্যা থাকলে এটি ব্যবহারের আগে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
৭. সর্দি ও কাশির সমস্যা: পেয়ারা প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা হওয়ায় সর্দি ও কাশির সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের এটি এড়িয়ে চলা উচিত। অতিরিক্ত পেয়ারা খেলে এই সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
৮. ডায়েটে নতুন অন্তর্ভুক্তির আগে: যদি আপনার পেটের কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে পেয়ারা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ এতে থাকা পটাশিয়াম ও ফাইবার অনেক সময় বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঘটাতে পারে।
পরিশেষে বলা যায়, পেয়ারা একটি পুষ্টিকর ফল। তবে এটি খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিমাণ এবং শরীরের অবস্থার ওপর নজর রাখা জরুরি।