পেটের চর্বি সমস্যায় কমবেশি অনেকেই ভোগেন। স্বাস্থ্যসম্মত ঘরোয়া কিছু টোটকায় খুব সহজে এবং দ্রুত পেটের চর্বি কমাতে পারেন।
১. লেবু জল খেয়ে দিন শুরু করা: পেটের চর্বি কমাতে চাইলে উষ্ণ লেবু জল পান করে দিন শুরু করতে পারেন। ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানের কারণে লেবু জল ভালো হজমে সহায়তা করে এবং শরীরকে বিশুদ্ধ করে; যা পেটের চর্বি পোড়ায়। শুধু লেবু জল খেতে অনীহা হলে এর সঙ্গে এক চামচ মধু মেশাতে পারেন।
২. জিরা জলে দিন শুরু: লেবু জলের বিকল্প হিসেবে জিরা জল খেয়েও দিন শুরু করতে পারেন। প্রতিদিন সকালে জিরা জল পান করলে চর্বি কমাতে সহায়তা করে। এটি এটি হজমক্রিয়ার উন্নতির পাশাপাশি তলপেটের চর্বি কমাতে সহায়তা করে।
৩. সকালের নাশতায় প্রোটিন রাখা: শরীরে শক্তি জোগাতে প্রোটিন গুরুত্বপূর্ণ। সকালে প্রোটিন খেলে পেশি গঠনে সহায়তা করে এবং সারা দিন পেট পূর্ণ থাকে; ক্যালরির পরিমাণ কমিয়ে দেয়। প্রোটিন শরীরে ব্লাড সুগারের নিয়ন্ত্রণ করে।
৪. শস্যজাতীয় খাবার গ্রহণ: এগুলোতে প্রচুর ফাইবার এবং প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়তা করে। এটি দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং উচ্চমাত্রায় ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণের ঝোঁক কমিয়ে দেয়। শস্যজাতীয় খাবার ওজন এবং পেটের চর্বি কমাতে সহায়তা করে।
৫. খাবারে হলুদ ব্যবহার: প্রদাহজনিত কারণে স্থূলতা বাড়ে। হলুদে থাকা প্রদাহ প্রতিরোধী উপাদান স্থূলতা কমাতে সহায়তা করে। ওজন কমানোর খাদ্যতালিকায় হলুদ রাখতে পারেন। এটি ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে চমৎকার কাজ করে।
৬. ইয়োগা বা মেডিটেশনের মাধ্যমে চাপমুক্ত থাকা: মানসিক চাপ এবং উদ্বিগ্ন কর্টিসেলের মতো চর্বি জমানো হরমোন বেড়ে যায়। এই হরমোন বেড়ে গেলে ক্ষুধার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে উচ্চ ক্যালরি যুক্ত খাবার গ্রহণ বেড়ে যায় এবং পেটে চর্বি জমে। এ কারণে মানসিক চাপমুক্ত থাকতে নিয়মিত ইয়োগা এবং মেডিটেশন করতে হবে।
৭. পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান: ওজন কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে জল । এটি শরীর আর্দ্র রাখে এবং শরীরের জন্য ক্ষতিকর খাবার গ্রহণের মাত্রায় কমিয়ে দিতে সহায়তা করে। খাওয়ার আগে জল পান করলে বেশি খাওয়া থেকে বিরত থাকা যায়; যা পেটের চর্বি বাড়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। bs