বিশ্বজুড়ে সন্তানহীনতার সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে। একটি সমীক্ষায় জানা গেছে, নারীদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে বন্ধ্যাত্বের হার ১.৫ শতাংশ বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত ওজন, ধূমপান, মদ্যপান এবং কিছু নির্দিষ্ট খাদ্যাভ্যাস পুরুষের শুক্রাণুর সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ার জন্য দায়ী।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু খাবার আছে যা পুরুষের বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি বাড়ায়। নিচে এমন কিছু খাবারের তালিকা দেওয়া হলো:
১. প্রসেসড মাংস: বেকন, সালামি, হটডগ এবং বার্গারের মতো খাবারে ব্যবহৃত প্রসেসড মাংস শুক্রাণুর পরিমাণ কমানোর অন্যতম প্রধান কারণ। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, রেড মিট বন্ধ্যাত্বের সমস্যার জন্য দায়ী। তবে ঠিক কী কারণে এমনটা হয়, সে বিষয়ে গবেষকরা এখনও নিশ্চিত নন।
২. হরমোনযুক্ত দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার: গবাদি পশুদের স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ দেওয়া হয়, যার প্রভাব তাদের দুধেও পড়ে। সম্প্রতি ১৮ থেকে ২২ বছর বয়সী পুরুষদের ওপর করা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, এ ধরনের দুধ এবং দুগ্ধজাত খাদ্য খেলে শুক্রাণুর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
৩. ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিড: ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিড বা ক্ষতিকর চর্বি হৃদরোগের পাশাপাশি শুক্রাণুর সমস্যার জন্যও দায়ী। এই ধরনের পদার্থ শুক্রাণুর গুণগত মান এবং সংখ্যা উভয়ই কমিয়ে দিতে পারে।
৪. রাসায়নিক পদার্থ: বর্তমান সময়ে খাদ্য উৎপাদনে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়, যা শুক্রাণুর সমস্যার জন্য মারাত্মকভাবে দায়ী। সবচেয়ে ভয়ের বিষয় হলো, এই রাসায়নিকগুলো প্রায় সব ধরনের খাদ্যেই মিশে থাকে, যা এড়িয়ে চলা কঠিন।
এছাড়াও, অতিরিক্ত ওজন, ধূমপান, মদ্যপান, দীর্ঘক্ষণ কোলে ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করা এবং কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও পুরুষের শুক্রাণুর সংখ্যা কমিয়ে দেয়। তাই, সুস্থ জীবনযাপন এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাস পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।