পিরিয়ডের সময় তীব্র ব্যথা অনেক নারীর কাছেই একটি সাধারণ সমস্যা। এটি দৈনন্দিন জীবনকে ব্যাহত করে। ব্যথানাশক ওষুধ ছাড়াও কিছু প্রাকৃতিক উপায় এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তন এই ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এখানে পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর কিছু সহজ ও কার্যকর পদ্ধতির কথা তুলে ধরা হলো।
১. গরম সেঁক: তলপেট এবং কোমরে গরম জলের সেঁক নেওয়া সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকর উপায়। হট ওয়াটার ব্যাগ ব্যবহার করা যেতে পারে। হালকা গরম জল পান করাও সাময়িকভাবে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
২. আদা ও তুলসী: আদা এবং তুলসী পাতার রস পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে খুব উপকারী। গরম জলে আদার কুচি, মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে ব্যথা অনেকটাই কমবে। একইভাবে, তুলসী পাতার রস গরম জলে মিশিয়ে দিনে দুই-তিনবার খেলে পেটের ক্র্যাম্প কমে।
৩. পর্যাপ্ত জল পান: পিরিয়ডের সময় শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা খুব জরুরি। পর্যাপ্ত জল পান করলে ব্যথা এবং অস্বস্তি কিছুটা কমে।
৪. দারচিনি ও গাজর: দারচিনি গুঁড়ো করে গরম জলে মধু মিশিয়ে খেলে পেটের ব্যথা কমে। এছাড়া, অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণে ব্যথা হলে গাজর বা গাজরের রস খাওয়া উপকারী। গাজরে থাকা ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন এ, সি এবং বি-১২ শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে।
৫. গ্রিন টি ও চকোলেট: পিরিয়ডের সময় দিনে দুই-তিনবার গ্রিন টি পান করা ভালো, কারণ এটি শরীরের জন্য একটি ভালো টনিক হিসেবে কাজ করে। মুড ভালো রাখতে অল্প চকোলেটও খাওয়া যেতে পারে।
৬. ডায়েট ও জীবনযাত্রা: এই সময় মাছ-মাংসের চেয়ে শাক-সবজি বেশি খাওয়া উচিত। অ্যালকোহল, ক্যাফেইন এবং ধূমপান পরিহার করা জরুরি, কারণ এগুলো হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে এবং ব্যথা বাড়াতে পারে। হালকা যোগাসন, প্রাণায়াম এবং শরীরকে সক্রিয় রাখলে ব্যথা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৭. ফুট মাসাজ ও আকুপাংচার: গরম জলে পা ডুবিয়ে রাখলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয়। কিছু নির্দিষ্ট আকুপাংচার পয়েন্টে হালকা চাপ দিলে তলপেটের যন্ত্রণা কমতে পারে।
পিরিয়ডের ব্যথা যদি অনিয়মিত বা অস্বাভাবিক হয়, বিশেষ করে পলিসিস্টিক ওভারির কারণে, তবে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।