আরামদায়ক ঘুমের জন্য বালিশ ব্যবহার আবশ্যক। তবে কোনো কারণে যদি এই বালিশই আপনার আরামের ঘুমকে যন্ত্রণায় পরিণত করে? এমনটা হওয়া খুব স্বাভাবিক।
একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন যে, অনেক সময় সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘাড়ে ব্যথা অনুভূত হয়। অথবা অনেকেরই ঘাড়ের পেশি শক্ত হয়ে যায়। গত দিনের কোনো কঠিন কাজের চাপে এমনটা হতে পারে। এছাড়া বেকায়দা ঘুমও একটি বড় কারণ। সচরাচর ঘাড়ের ব্যথা হলেই বালিশের দিকে নজর ফেরানো উচিত। বেকায়দা ঘুমের ফলাফল ধরে নিলে পস্তাতে হবে।
অনেক সময় সামান্য ঘাড়ের ব্যথা বড় কোনো সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। ঘুমের সমস্যা এদের মধ্যে সবচেয়ে বড়। আর এহেন বড় সমস্যার পেছনে বালিশের অবদান ব্যাপক। বালিশ ঠিক না থাকলে নানা সমস্যা হতে পারে। নাক ডাকা, নির্ঘুম রাত, ঘাড়ে ব্যথা ইত্যাদি সামান্য কিন্তু ভয়ংকর সমস্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক।
বালিশ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আমরা অতটাও গুরুত্ব দেইনা। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেন বালিশ কেনার ক্ষেত্রে কিছুটা খুঁতখুঁতে হওয়া উচিত। তবে বালিশ কেনার ক্ষেত্রে কি ধরণের বালিশ বাছাই করবেন? চলুন জেনে নেয়া যাক-
>> বালিশে শোয়ার সময় কাঁধে চাপ লাগলে সেই বালিশ বদলানো উচিত। বেকায়দা ঘুমের একটা বড় কারণ এই কাঁধে চাপ লাগা থেকে পিঠেও ব্যথা হতে পারে।
>> বালিশ কেনার সময় কাঁধের অনুপাত বিবেচনা করে কেনা উচিত। আপনার কাঁধের অনুপাতে বালিশ ছোট হলে বালিশ বদলাতে হবে। বিশেষত পুরুষদের কাঁধ চওড়া বিধায় চওড়া বালিশ ব্যবহার করাই শ্রেয়।
>> অনেকেরই নাক ডাকার সমস্যা রয়েছে। একে অনেকে অভ্যাস বলে এড়িয়ে যান। কিন্তু বালিশ ঠিক না হলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। এন্টি স্নোরিং বালিশ ব্যবহার করলেও এই সমস্যা দূর হতে পারে।
>> আমাদের মধ্যে অনেকেরই খুব নরম বা খুব শক্ত বালিশে শোওয়ার অভ্যাস। অভ্যাসটা নেহাত ব্যক্তিগত হলেও খুব নরম কিংবা খুব শক্ত বালিশে শোওয়া উচিত না। এরকম ক্ষেত্রে মাথায় চাপ পড়ে। এমনকি উঁচু বালিশও এড়ানো উচিত। ঘাড়ের পেশি শক্ত হয়ে যায় ফলে ব্যথা বাড়তে পারে।