ঘুম ভাঙার পরও দুঃস্বপ্নের আতঙ্ক আমাদের দীর্ঘক্ষণ তাড়িয়ে বেড়ায়। ভালো স্বপ্ন সহজে ভুলে গেলেও দুঃস্বপ্ন যেন মনের মধ্যে গেঁথে যায়। কেন এমনটা হয়, তার কারণ খুঁজে বের করেছেন গবেষকরা। তুলানে ইউনিভার্সিটি স্কুল অব সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টুফস ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের গবেষকদের মতে, এর পেছনে রয়েছে একটি নির্দিষ্ট নিউরোট্রান্সমিটারের ভূমিকা।
গবেষকরা দেখেছেন, স্ট্রেস নিউরোট্রান্সমিটার নরপাইনফ্রাইন, যা নরড্রেনালাইন নামেও পরিচিত, মস্তিষ্কের অ্যামিগডালা নামক অংশে প্রতিরোধমূলক স্নায়ুগুলিকে উদ্দীপিত করে। এর ফলে মস্তিষ্কে ভয়ের স্মৃতিগুলি হঠাৎ করে জেগে ওঠে। ঘুমের সময় মস্তিষ্ক যখন শান্ত থাকে, তখন এই ভয়ের স্মৃতিগুলির হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটলে আমরা ঘুমের মধ্যে শিহরিত হই এবং আতঙ্কিত হয়ে পড়ি।
এই নিউরোট্রান্সমিটারের প্রভাবে বারবার ভয়ের স্মৃতিগুলো আমাদের স্নায়ুকে উদ্দীপিত করতে থাকে, যার কারণে দুঃস্বপ্ন দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং সহজে ভোলা যায় না। দিনের বেলার ক্লান্তি ও চাপ আমাদের ওপর যে প্রভাব ফেলে, তা ঘুমের সময় এই নরপাইনফ্রাইনকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই, দুঃস্বপ্ন থেকে মুক্তি পেতে মানসিক চাপ কমানো এবং শান্ত থাকার অভ্যাস করা জরুরি।