বিশেষ অনুষ্ঠান ছাড়া বেনারসি, জারদৌসি, ভারী ডিজাইনের শাড়ি পরা হয় না। কিন্তু দামি শাড়িগুলো আলমারিতে যত্নের অভাবেই নষ্ট হয়ে যেতে বসেছে। এমন অভিজ্ঞতা বাঙালি মেয়েদের কম নয়। আলমারিতে কীভাবে সাজিয়ে রাখবেন, সঠিক যত্ন নেবেন কীভাবে, সেসব বুঝে উঠতে পারছেন না। এদিকে কানের কাছে মায়ের বকুনির ঠেলায় অস্থির। আপনার মুশকিল আসান করতে রইল কিছু ঘরোয়া টিপস…
১. যেসব শাড়ি ভারী ও দামি, সেগুলো আলাদা ওয়্যারড্রোবে রাখুন। প্রচুর নকশা করা শাড়িগুলোকে খবরের কাগজ বা যেকোনও পাতলা কাপড়ের মধ্যে প্যাক করুন। এই ধরনের শাড়িগুলো তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। খুব ভালো হয় যদি বক্স বা শাড়ির ব্যাগে রেখে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
২. শাড়ির মধ্যে যদি দাগ থাকে, তাহলে দ্রুত সম্ভব তুলে ফেলার চেষ্টা করুন। দাগ তুলে ফেলা হলে তারপর অবশ্যই ঠান্ডা জলে শাড়ি ধুয়ে ফেলবেন। খুব বেশ দাগ থাকলে জলের মধ্যে হালকা হোয়াইট ভিনিগার, লেবুর রস বা অল্প পরিমাণে সাবান দিতে পারেন।
৩. শাড়ি আয়রন করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন। শাড়ির ধরন অনুযায়ী আয়রনের সেটিংস সেট করুন। প্রেস করার সময় নজর রাখুন আয়রন কতটা গরম রয়েছে।
৪. সব শাড়ি ওয়াশিং মেশিনে কাচার জন্য নয়। সাধারণত সুতির শাড়ি মেশিনে কেচে ফেলতে পারেন। কিন্তু ভারী ও দামি শাড়ি হাতে করে কাচলে ভালো হয়। যদি শাড়ি থেকে রঙ উঠে যাওয়ার প্রবণতা থাকে, তাহলে আগেই টেস্ট করে নিন। যদি সম্ভব হয় ড্রাই ক্লিন করতে দিতে পারেন।
৫. আলমারিতে একবার শাড়ি ভাঁজ করে তুলে ফেললেই, সেটি যেমনটি থাকার তেমনটি থাকে। জড়ি দেওয়া বা সিল্কের শাড়ি বছরের পর বছর একইভাবে ভাঁজ করে পড়ে থাকলে, বাঁজে বাঁজে কেটে যেতে পারে। খুব ভালো হয় সব শাড়ি অন্ধকার ও ঠান্ডা মতো জায়গাতে রাখতে পারলে।