প্রতিটি হিন্দু পরিবারে তুলসী গাছ থাকে কারণ এটিকে সুখ ও কল্যাণের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। ধর্মীয় কল্যাণের কথা বাদে এটিকে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে ‘মহাঔষধ’ বলেও অভিহিত করা হয়েছে। সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে নানান রোগের নির্মূল করা এই তুলসী গাছ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:-
১) প্রতিদিন তুলসী খেলে হাঁপানি ও টিবির মতো রোগ হয় না কারণ এই রোগের জন্য যে ব্যাকটেরিয়া দায়ী তা রোধ হয়। এছাড়াও আদা, মধু ও তুলসী একসাথে মিশিয়ে পান করলে হাঁপানি, কফ এবং সর্দিতে আরাম পাওয়া যায়।
২) ম্যালেরিয়া ও টাইফয়েডের মতো সমস্যায় পড়লে কয়েকটি তুলসী পাতা ও গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৩) তুলসী গাছ যেকোনো ধরনের জ্বরকে নির্মূল করতে কার্যকরীভাবে প্রমানিত হয়েছে। অ্যান্টিবায়োটিক অথবা প্যারাসিটেমল ব্যবহার না করেও তুলসীর সাহায্যে জ্বর নিরাময় করা সম্ভব।
৪) যে সকল মানুষেরা মাইগ্রেন ও সাইনাসে দীর্ঘস্থায়ীভাবে ভুগছেন, তারা নিয়মিত সকাল ও সন্ধ্যায় এক চামচ খাঁটি মধুর সাথে তুলসী পাতার রস মিশিয়ে পান করলে কয়েকদিনের মধ্যেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
৫) দৃষ্টিশক্তিকে উন্নত করতে তুলসীর জুড়ি মেলা ভার। শুধু তাই নয় চোখের বিভিন্ন রোগেরও নিরাময় করে।
৬) কিডনিতে পাথর হলে নিয়মিত তুলসী পাতার রস খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৭) যারা হৃদরোগজনিত সমস্যায় ভুগছেন নিয়মিত তুলসী ও এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও এটি উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রনে রাখে।
৮) যে সকল পুরুষেরা শারীরিক দুর্বলতা ভুগছেন তাদের জন্য তুলসীর বীজ অত্যন্ত উপকারী। এছাড়াও এটি নিয়মিত ব্যবহারে দাম্পত্য জীবনকে সুখী করে এবং পুরুষত্বহীনতার ক্ষেত্রেও বিশেষভাবে উপকারী।
৯) যে সকল নারীরা অনিয়মিত পিরিয়ডস এর সমস্যায় ভুগছেন, খালি পেটে কিছুদিন তুলসীর পাতা খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।