বর্তমানে ডায়াবেটিস খুব সাধারণ একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সাধারণ হলেও রোগটি ভয়ংকর। একসময় মনে করা হতো রোগটি কেবল বয়স্কদের। কিন্তু বর্তমানে অল্প বয়সীরা এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। আর এর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
অন্যদিকে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক দক্ষতা কমে যায়। শরীরচর্চার করার প্রবণতাও কমে। ফলে যারা দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক ভাবেই বেড়ে যায়। শরীরে ইনসুলিন হরমোনের ঘাটতি হয়। এক্ষেত্রে রাতে খাওয়ার পর মিনিট ১৫ হাঁটাহাটি করলেই ভালো ফল পাওয়া যায়।
এমনিতেই শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত হাঁটার কোনো বিকল্প নেই। অনেকেই সকালে ‘মর্নিং ওয়াক’ করার সময় পান না। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতে খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও রাখা সম্ভব। পাশাপাশি অনেক ধরনের শারীরিক সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা টাইপ টু ডায়াবিটিসে ভুগছেন, তারা যদি খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটেন, তাহলে রক্তে শর্করা তৈরিতে তার প্রভাব পড়ে। খাবার থেকেই রক্তে শর্করা তৈরি হয়। খাওয়ার হাঁটাহাটি করার সময় যে ক্যালোরির খরচ হয় তার জোগান রক্তের শর্করাই দেয়। তাই হাঁটলে ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে না।
রাতে খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করলে আর যেসব সুফল মিলবে
>> মেদ ঝরাতেও রোজ রাতে খাওয়াদাওয়ার পর হাঁটতে পারেন। হাঁটলে বিপাক হার বাড়ে। ফলে ওজনও ঝরে দ্রুত।
>> ইদানীং অল্প বয়েসেই মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন শরীরচর্চা করার পরামর্শ দেন। তবে কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই শরীরচর্চা করার সময় পান না। সেক্ষেত্রে খাবার খাওয়ার পর নিয়মিত হাঁটাচলা করলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। আর রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকলে স্ট্রোক কিংবা হৃদরোগের মতো রোগের ঝুঁকি কমে।
>> খাওয়াদাওয়ার পর হাঁটার অভ্যাস থাকলে, হজমশক্তি ভালো হয়। যাদে