ডায়াবেটিস হলেও মন খারাপ নয়! এই ৫ মুখরোচক খাবার খেতে পারেন পরিমিত পরিমাণে!

ডায়াবেটিস ধরা পড়া মানেই যেন খাবারের অবাধ স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া। বিশেষ করে মিষ্টিজাতীয় খাবারের ক্ষেত্রে তাদের উপর থাকে কঠোর নিষেধাজ্ঞা। কারণ চিনিযুক্ত খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গিয়ে স্বাস্থ্যের মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তবে এমন কিছু সুস্বাদু খাবারও রয়েছে, যা ডায়াবেটিস রোগীরাও পরিমিত পরিমাণে উপভোগ করতে পারেন। ওয়েব এমডি ডট কমের তথ্য অনুযায়ী সেই খাবারের তালিকা নিচে দেওয়া হলো:

বাদাম দুধ:

অনেকের কাছে শুধু দুধ পান করা একঘেয়ে লাগতে পারে। কিন্তু সুগার বেড়ে যাওয়ার ভয়ে তারা চিনিও মেশাতে পারেন না। তাদের জন্য একটি চমৎকার বিকল্প হলো বাদাম দুধ। এটি যেমন শরীরে বাড়তি ভিটামিন যোগ করে, তেমনই এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।

বাদামের রুটি:

বাদাম এবং বিভিন্ন ধরনের বীজ স্বাস্থ্যকর চর্বি ও প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস। এগুলোতে শর্করার পরিমাণ কম থাকায় রক্তে শর্করার মাত্রা খুব একটা বাড়ে না। বাদামের রুটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে, যা সুগারের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।

তাজা চর্বিহীন মাংস:

প্রক্রিয়াজাত বা লাল মাংসের পরিবর্তে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য তাজা মাছ অথবা চর্বিহীন মাংস খাওয়া ভালো। এগুলোতে ক্যালোরি ও চর্বির পরিমাণ কম থাকে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। পাশাপাশি এটি হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যকেও রক্ষা করে।

নারকেল-লেবু জল:

সাধারণ ফলের রসে চিনির পরিমাণ বেশি থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের তা কম পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে এর পরিবর্তে পানীয় হিসেবে নারকেলের জল বা লেবুর জল আপনার তৃষ্ণা মেটাতে পারে। ডাবের জল পান করলে শরীরে পটাসিয়াম ও সোডিয়ামের ভারসাম্যও বজায় থাকে।

মিঠাই বল:

এই মুখরোচক বলগুলো সাধারণত স্বাস্থ্যকর উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়। যা আপনাকে ফাইবার এবং প্রোটিন উভয়ই সরবরাহ করবে। চিনির পরিমাণ কম রেখে অথবা কৃত্রিম চিনি ব্যবহার করে বাড়িতেই তৈরি করে নিতে পারেন এই খাবার। কোকো পাউডার, আখরোট বা বাদাম, খেজুরের পেস্ট এবং ভ্যানিলা এসেন্স মিশিয়ে ছোট ছোট আকারের ফুড বল তৈরি করা যেতে পারে।

সুতরাং, ডায়াবেটিস মানেই মুখ বন্ধ করে থাকা নয়। পরিমিত পরিমাণে এই সুস্বাদু খাবারগুলো আপনার খাদ্যতালিকায় যোগ করে আপনিও রসনা তৃপ্তি করতে পারেন এবং একই সাথে আপনার স্বাস্থ্যকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। তবে যেকোনো খাবার গ্রহণের পূর্বে আপনার ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy