ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি : গবেষণা

ডায়াবেটিস হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। ঠিক একইভাবে অন্যান্যদের চেয়ে ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যেও পিত্তথলিতে পাথর বা গলব্লাডার স্টোনের ঝুঁকি বাড়ে।

বিভিন্ন বয়সের মানুষই এখন এ সমস্যায় ভুগছেন। এই রোগের মূল উপসর্গ পেটে ব্যথা। নিয়মিত পেটে ব্যথাই জানান দেয় যে, পিত্তথলিতে পাথর জমেছে।

মূলত দীর্ঘক্ষণ খালিপেটে থাকলে গল ব্লাডারে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। ওজন বেড়ে গেলে পিত্তথলির উপর চাপ পড়ে। তার কারণেও অনেক সময় পিত্তথলিতে পাথর জমে। বয়স ৪০ পার হওয়ার পর এই রোগের ঝুঁকি বেশি।
শরীরে জলের ঘাটতি হতে দেওয়া যাবে না। এছাড়া ডায়াবেটিস থাকলেও সতর্ক হতে হবে। এমনকি বংশে কারও এই রোগ থাকলেও সাবধান হওয়া ভালো। এই রোগ অনেক সময়েই বংশানুক্রমিক।

কোন কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন?

১. পিত্তাশয়ে পাথর হলে মাংস বা তেল-মসলাদার খাবার খেলেই পেটে তীব্র যন্ত্রণা হয়। সঙ্গে হয় বমিও হয় অনেকের।

২. মাঝে মধ্যেই কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে ও সঙ্গে পেটে ব্যথাও হয়।

৩. পিত্তথলিতে পাথর জমার মূল লক্ষণ, পেটের ডান দিক থেকে ব্যথা শুরু হয়ে ডান কাঁধ পর্যন্ত পৌঁছানো। এ রকম হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

৪. প্রস্রাবের রং দেখেও সতর্ক হতে পারেন। গাঢ় খয়েরি রঙের প্রস্রাব পিত্তথলিতে পাথর জমার ইঙ্গিত হতে পারে।

৫. গলব্লাডারে পাথর জমলে অনেকেই জন্ডিসের মতো রোগে আক্রান্ত হন। জন্ডিস হলেও সতর্ক থাকতে হবে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy