চুল নিয়ে সমস্যায় ভোগেন না এমন নারীর সংখ্যা নেহাতই কম। কারও চুল অতিরিক্ত তেলতেলে হয়ে যাচ্ছে, তো কারও চুল আবার রুক্ষ ও প্রাণহীন। অনেকের কাছে চুল ঝরে পড়ার সমস্যা একটি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এই সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চুলের সঠিক যত্ন নেওয়া অত্যাবশ্যক। তবে মনে রাখতে হবে, শুধুমাত্র দামি স্পা বা ঘন ঘন ম্যাসাজ চুলের স্বাস্থ্য ফেরাতে যথেষ্ট নয়। এর থেকেও বেশি প্রয়োজন কিছু সাধারণ বিষয়ে সচেতন থাকা এবং কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করা।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কয়েকটি সহজ অভ্যাস বদলে ফেললেই চুলের অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব। নিচে তেমনই কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করা হলো:
১) ভেজা চুল আঁচড়ানো থেকে বিরত থাকুন: স্নান সেরে উঠেই ভেজা চুল আঁচড়ানোর অভ্যাস অনেকেরই থাকে। তবে এটি চুলের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। ভেজা চুল এমনিতেই দুর্বল থাকে এবং খুব সহজে ছিঁড়ে যেতে পারে। তার উপর যদি সেই ভেজা চুলে চিরুনি ব্যবহার করা হয়, তবে চুল আরও দ্রুত ঝরতে শুরু করে। তাই চুল কিছুটা শুকিয়ে যাওয়ার পরই আলতো হাতে আঁচড়ানো উচিত।
২) ভেজা চুলে ঘুমোনো এড়িয়ে চলুন: দুপুরে খাওয়ার পর অনেকেই অল্প বিশ্রাম নেন বা ঘুমিয়ে পড়েন। তবে ভেজা চুলে ঘুমোনো চুলের জন্য একেবারেই ভালো নয়। এতে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যায় এবং চুল শুষ্ক হয়ে পড়ার প্রবণতা বাড়ে। ফলস্বরূপ, চুল ঝরে যাওয়ার সমস্যা বৃদ্ধি পায়। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে চুল ভালোভাবে শুকিয়ে নেওয়া জরুরি।
৩) খুব টাইট করে চুল বাঁধা বন্ধ করুন: অনেক মহিলাই বিভিন্ন পোশাকের সাথে মানানসই করে চুল খুব টেনে বাঁধেন। এতে দেখতে হয়তো ভালো লাগে, কিন্তু চুলের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এছাড়া, চুলের ভেতরে বাতাস চলাচল করতে পারে না। ফলে চুলের গোড়া ঘামতে শুরু করে এবং চুলের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই দিনের বেশিরভাগ সময় চুল আলগা করে রাখাই শ্রেয়। বিশেষ অনুষ্ঠানে বা প্রয়োজনে চুল বাঁধলেও তা যেন খুব টাইট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত।
সুতরাং, চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে শুধুমাত্র বাহ্যিক যত্নের উপর নির্ভর না করে দৈনন্দিন কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন আনা জরুরি। সচেতনতাই পারে আপনার চুলের অনেক সমস্যার সমাধান করতে এবং আপনার চুলকে করে তুলতে ঝলমলে ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।