চুইংগাম খাওয়া অনেকেরই একটি সাধারণ অভ্যাস, যা সাধারণত শিশুদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয় হলেও বড়রাও সমানভাবে এটি পছন্দ করেন। চুইংগাম কেবল সময় কাটানোর একটি উপায় নয়, এর কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারিতাও রয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চুইংগাম যদি প্লাস্টিক এবং পলিথিন টক্সিন মুক্ত হয়, তবে তা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হতে পারে। এ ধরনের চুইংগাম অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল হিসেবে কাজ করে এবং মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
চুইংগাম খাওয়ার কিছু উল্লেখযোগ্য উপকারিতা নিচে তুলে ধরা হলো:
১. মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি: চুইংগাম মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার জন্য শক্তি জোগায় এবং মানসিক স্পৃহা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করে। মিন্ট ফ্লেভারের চুইংগাম ফোকাস বাড়াতে এবং স্নায়ুর কর্মক্ষমতা উন্নত করতে সহায়ক।
২. মানসিক চাপ দূর করে: মানসিক চাপ বা স্ট্রেস থেকে মুক্তি পেতে চুইংগাম খুব কার্যকর হতে পারে। এটি মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করতে সাহায্য করে এবং স্নায়ুতন্ত্রকে সজাগ রাখে।
৩. কাজে মনোযোগ বাড়ায়: যারা অস্থিরতায় ভোগেন বা কোনো কাজে মনোযোগ দিতে পারেন না, তাদের জন্য চুইংগাম সহায়ক হতে পারে। এটি জিআই ফাংশন উন্নত করে এবং কাজে মনোযোগ দেওয়া সহজ করে তোলে।
৪. মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে: চুইংগাম মুখের ভেতরের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজ করে। এটি মুখের মধ্যে জন্ম নেওয়া ক্ষতিকর জীবাণু মেরে ফেলতে পারে এবং মুখকে সতেজ রাখে। কিছু ক্ষেত্রে এটি মাউথ ওয়াশের মতোই কাজ করে।
৫. হজমে সহায়তা: চুইংগাম চিবানোর কারণে লালারস বেশি উৎপন্ন হয়, যা খাবার হজমে সাহায্য করে। এটি হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে।
তবে মনে রাখা দরকার, চুইংগাম বেশিক্ষণ ধরে চিবানো উচিত নয়। অল্প সময়ের জন্য এটি চিবানো ভালো, এতে মুখের পেশীগুলো সক্রিয় হয়।