চিংড়ি মাছ না পোকা—এই বিতর্ক বহুদিনের। তবে এটি যে স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। চিংড়ি মাছ তার অসাধারণ স্বাদের জন্য যেমন জনপ্রিয়, তেমনি এর পুষ্টিগুণের জন্যও এটি সবার কাছে প্রিয়। ছোট বা বড়, সব ধরনের চিংড়িতেই রয়েছে এমন কিছু উপাদান, যা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
চিংড়ির স্বাস্থ্য উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
১. ক্যান্সার প্রতিরোধ: চিংড়িতে প্রচুর পরিমাণে সেলেনিয়াম থাকে, যা শরীরের ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে। নিয়মিত চিংড়ি খেলে ক্যান্সার প্রতিরোধের ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
২. প্রোটিন এবং মিনারেলের উৎস: চিংড়িতে প্রোটিন, ফ্যাট এবং মিনারেলের এক দারুণ ভারসাম্য রয়েছে। এই উপাদানগুলো আমাদের শরীরকে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করে।
৩. হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে: চিংড়ি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের এক দারুণ উৎস। এই ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, যা হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে। এটি লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও কার্যকর।
৪. ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়: চিংড়িতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ই থাকে, যা ত্বককে সুস্থ রাখতে এবং তার ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে সাহায্য করে।
৫. হাড় ও দাঁত মজবুত করে: চিংড়িতে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে। ক্যালসিয়াম আমাদের দাঁত এবং হাড়ের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত চিংড়ি খেলে হাড় মজবুত হয়।
৬. ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য: অন্যান্য মাছ বা মাংসের তুলনায় চিংড়িতে ক্যালোরির পরিমাণ অনেক কম। তাই যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তারা নিশ্চিন্তে চিংড়ি খেতে পারেন।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চিংড়ির চাষ হয়। বিশেষ করে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, কারণ এটি বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। চিংড়ির এসব পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতার কারণে এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে।