চশমার কাঁচ পরিষ্কার করার সময় অবশ্যই মাথায় রাখুন এসব বিষয়

অনেক সময় নিত্যদিনের বেশ কিছু কাজ এমনভাবে আমাদের অভ্যেসে পরিণত হয় যে নিয়মিত ওই বিষয়গুলি আমরা যান্ত্রিক ভাবে করতে থাকি। ওই কাজগুলি করার সময় তেমন ভাবে মাথা খাটাই না। অথচ এই ছোট খাটো বিষয়গুলির মধ্যেই অনেক ভুল ভ্রান্তি থেকে যায়। এই যেমন ধরুন চশমার কাঁচ পরিষ্কারের বিষয়টা। চশমার কাঁচ মোছার সময় যদি তা সঠিক পদ্ধতি করা না হয় তা হলে সহজেই স্ক্র্যাচ পড়ে যায়। আর স্ক্র্যাচ পড়া মানেই কাঁচ পালটাতে হবে। অনেকেই এমন আছেন যাদের চশমা ছাড়া কোনও কাজ করাই সম্ভব নয়। তাই এটা যেমন সময় সাপেক্ষ তেমন খরচ সাপেক্ষও বটে। তাই চশমা পরিষ্কারের সময় সচেতন থাকলেই এই সব ঝামেলা পোয়াতে হবে। কীভাবে করবেন চশমা পরিষ্কার জেনে নিন-

চশমা সব সময় লিকুইড গ্লাস ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করুন।

সুতির কাপড় কিংবা টিসু পেপারের ওপর ২ ফোঁটা লিকুইড গ্লাস ক্লিনার ঢেলে চশমা পরিষ্কার করে নিন।

লিকুইড গ্লাস ক্লিনার না থাকলে শেভিং ফোম দিয়েও চশমা পরিষ্কার করে নিতে পারেন। কিছুক্ষণ চশমায় এই শেভিং ফোম লাগিয়ে রাখুন এবং অপেক্ষা করার পর সুতির কাপড় দিয়ে ফোম ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। চশমা একেবারে পরিষ্কার হয়ে যাবে।

টুথপেস্ট দিয়ে চশমা পরিষ্কার করতে পারেন। শেভিং ফোমের মত অল্প টুথপেস্ট নিয়ে চশমার ভাল করে পরিষ্কার করে নিন এবং সুতির কাপড় দিয়ে হাল্কা ডলে পরিষ্কার করে নিন। ভুল ভাবে পরিষ্কারের ফলে যদি চশমার কাঁচে স্ক্র্যাচ পড়ে গিয়ে থাকে তা হলে এই টুথপেস্ট দিয়ে অন্তত ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত আলতো হাত দিয়ে ডলতে থাকুন দেখবেন স্ক্র্যাচ পরিষ্কার হয়ে গেছে।

চশমা সব সময় সুতির কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন। এতে কোনও দিন চশমায় স্ক্র্যাচ পড়বে না।

চশমা পরিষ্কার করার জন্য মাইক্রোফাইবার কাপড় ব্যবহার করতে পারেন।

ব্যবহারের পর দিনের শেষে চশমা নির্দিষ্ট বাক্সে রাখুন। এর ফলে চশমায় ধুলো, ময়লা কিংবা স্ক্র্যাচ পড়বে না

কী করবেন না

চশমা পরিষ্কার করতে কখনও ভুলেও বেকিং সোডা ব্যবহার করবেন না এর ফলে চোখের ক্ষতি হতে পারে।

চশমা কখনই সাবান দিয়ে পরিষ্কার করবেন না। এটা হার্ড হয় এবং এর ফলে চশমায় স্ক্র্যাচ হতে পারে।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy