দেহের অন্যান্য অংশের মতো কনুইও সৌন্দর্য বিকাশের একটি বিশেষ অংশ। যা কালো হয়ে গেলে দেখতে বেশ বিশ্রি লাগে। আর সৌন্দর্য বিকাশেও বাধা দেয়। তাই সৌন্দর্য সচেতন নারীরা নানা উপায় অবলম্বন করেন এই দাগ থেকে মুক্তি পেতে।
কনুইয়ের ত্বক শরীরের অন্য অংশের ত্বকের চেয়ে বেশি পুরু হয়। তাই এই অংশে পাতলা ময়শ্চারাইজার তেমন কাজ করে না। ফলে খুব তাড়াতাড়ি কনুই শুকনো হয়ে যায়। তাছাড়া এই অংশে মেলানিন বেশি তৈরি হয় বলে কালচে ভাবও বেশি থাকে। কনুইয়ের কালচে আর শুকনোভাব কমিয়ে স্বাভাবিক করতে চাইলে আপনাকে নিতে হবে বিশেষ যত্ন।
ঘরে থাকা উপাদান দিয়েই আপনি নিতে পারেন কনুইয়ের যত্ন। তাও খুব সল্প সময় ব্যয় হবে এতে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক জেনে ঘরে থাকা যেসব উপাদান দিয়ে সহজেই দূর হবে কনুইয়ের কালো দাগ-
শসার রস
একটা শসা থেকে একটু মোটা করে দুটি টুকরো কেটে নিন। এবার তা কনুইয়ে মিনিট দশেক ঘষতে থাকুন। তারপর পাঁচ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। শসার রসের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়েও লাগাতে পারেন, সেক্ষেত্রে দুটির রসই সমপরিমাণে নিতে হবে। প্রতিদিন এই মিশ্রণটা মেখে দেখুন, পার্থ্যক খুব শিগগিরই চোখে পড়বে।
লেবুর রস
পাতিলেবুর রসে ব্লিচিং এফেক্ট রয়েছে। কনুইয়ের বিশ্রী কালো ছোপ তুলতে বেশ সহায়ক লেবুর রস। অর্ধেক পরিমাণ লেবু কেটে এর রস ভালোভাবে নিংড়ে নিন। রসটা ভালোভাবে নিংড়ে অন্য পাত্রে রেখে দিন যাতে লেবুর টুকরোটা এক একটা ছোট কাপের মতো দেখতে লাগে। এবার এক একটা টুকরো নিয়ে কনুইয়ে খুব ভালো করে ঘষুন। ইচ্ছে করলে সামান্য চিনিও মাখিয়ে নিতে পারেন, তাতে কনুইয়ের অংশটা এক্সফোলিয়েট করাও হয়ে যাবে। হয়ে গেলে লেবুর শাঁস যেটুকু কনুইয়ে লেগে থাকবে সেটা ঝেড়ে ফেলে দিন, তারপর আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। আধা ঘণ্টা পরে হালকা গরম জলে ধুয়ে ঘন ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। প্রতিদিন নিয়ম করে করলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কনুইয়ের কালোভাব ফিকে হতে শুরু করবে।
দুধ আর বেকিং সোডা
দুধের ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের পিগমেন্টেশন কমায় আর বেকিং সোডা জমে থাকা মৃত কোষ তুলে ফেলতে সাহায্য করে। পরিমাণ মতো বেকিং সোডার সঙ্গে দুধ মিশিয়ে একটা থকথকে পেস্টের মতো করুন। এই পেস্ট দুই কনুইয়ে মেখে তিন মিনিট চক্রাকারে ম্যাসাজ করুন। ধীরে ধীরে কালচে ভাব কমে আসবে, দুধের ফ্যাট কনুইয়ের শুকনোভাবও কমাবে।bs