ঘনঘন খিদে পায়? এটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে যা করণীয় আপনার

খাদ্যাভ্যাসকে যত বেশি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে, নিজেকে ততটাই সুস্থ রাখা যাবে। কিন্তু খাদ্যাভ্যাসের দিকে নজর দেওয়ার পাশাপাশি নজর দেওয়া প্রয়োজন খাবার খাওয়ার ধরণের প্রতিও। ঘনঘন ক্ষুধাভাব দেখা দেওয়ার সমস্যাটি অনেকখানি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব শুধুমাত্র এই একটি বিষয়ে নজর দিয়েই।

আঁশযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া

খাদ্যাভ্যাসে যথাসম্ভব বেশি পরিমাণ আঁশযুক্ত খাবার রাখার চেষ্টা করতে হবে। আঁশযুক্ত খাবার সম্পূর্ণ পরিপাক হতে লম্বা সময়ের প্রয়োজন হয়। ফলে দীর্ঘসময় পর্যন্ত ক্ষুধাভাব দেখা দেয় না এবং পেট ভরা থাকে। এছাড়া আঁশযুক্ত খাবার পাকস্থলীর সুস্থতা ও বাওয়েল মুভমেন্টের জন্য খুবই জরুরি। বিভিন্ন ধরনের আঁশযুক্ত ফল, সবজি ও বীজ জাতীয় খাবার খাওয়ার দিকে প্রাধান্য দিতে হবে।

ছোট ছোট খাবারে বিভক্ত করুন

একবারে অনেক বেশি খাবার না খেয়ে, একই পরিমাণ খাবারকে দুই-তিনবারে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে করে প্রতি দুই-তিন ঘন্টা পরপর খাবার খাওয়া হবে এবং অহেতুক ক্ষুধাভাব দেখা দেবে না। যেমন সকালের নাশতায় একবারে তিন-চারটি রুটি না খেয়ে একবার দুইটি রুটি খেয়ে পরবর্তী তিন ঘন্টা পর আবার দুইটি রুটি খেতে হবে। দুপুরে একবারে এক প্লেট ভগাত না খেয়ে এক কাপ পরিমাণ ভাত ও ডাল খেয়ে পরবর্তী তিন ঘণ্টা পর ভাত ও সবজি খেতে হবে।

কখনোই দ্রুত খাবেন না

যাদের অতি দ্রুত খাবার খাওয়ার অভ্যাস আছে, তাদের এখন থেকেই এই অভ্যাসটি বদলে ফেলার তোরজোড় নিতে হবে। গবেষণার তথ্য জানাচ্ছে, মানুষের মস্তিষ্কের বিশ মিনিট সময় প্রয়োজন হয় শরীরকে এই সিগন্যাল দেওয়ার জন্য যে, তার ক্ষুধাভাব মিটে গেছে। এ কারণে যত আস্তেধীরে খাবার খাওয়া হবে, তত সময় পাওয়া যাবে। দ্রুত খাবার খাওয়া হলে মস্তিষ্ক সেই সিগন্যালকে ধরতে পারে না, ফলে বেশি খাবার খাওয়া হলেও ক্ষুধাভাব রয়ে যায়।

জল পান করুন বেশি

একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের দৈনিক ৮ গ্লাস পরিমাণ জল পান করা আবশ্যক হলেও সে পরিমাণ জল পান করা হয়না বেশিরভাগ সময়। এই অভ্যাসটি রপ্ত করতে পারলে শরীর তার প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা পাওয়ার পাশাপাশি ক্ষুধাভাবও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। খাবার খাওয়ার আগে পরে জল পানের জন্য পেট ভরা থাকবে দীর্ঘসময়।

জোর দিন প্রোটিনে

আঁশ জাতীয় খাবারের মতো প্রোটিন জাতীয় খাবারও দীর্ঘসময় ক্ষুধাভাবকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করে। কারণ প্রোটিন জাতীয় খাবার সম্পূর্ণ পরিপাক হতে বেশ সময়ের প্রয়োজন হয়। এছাড়া রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যেও প্রোটিন অনেক বড় অবদান রাখে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy