শরীর এবং মনকে সতেজ রাখতে বডি মাসাজের গুরুত্ব অপরিসীম। স্ট্রেস বা পেশির ব্যথা কমানোর পাশাপাশি নিয়মিত তেল মালিশের আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। মাসাজের সময় ত্বকে যে মৃদু চাপ পড়ে, তা মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে এবং রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। এর ফলে ত্বক ঝলমলে ও আর্দ্র থাকে।
নিয়মিত তেল মালিশের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা:
১. নার্ভাস সিস্টেমের আরাম: মাসাজের ফলে শরীর যখন নির্ভার হয়, তখন নার্ভাস সিস্টেমও বিশ্রাম পায়। এতে শরীরের যেকোনো অংশে ব্যথার অনুভূতি কমে আসে এবং আরাম হয়। নার্ভাস সিস্টেম রিল্যাক্সড থাকলে হরমোন উৎপাদন স্বাভাবিক থাকে।
২. স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রণ: মাসাজ করলে স্ট্রেস হরমোন যেমন ‘কর্টিকোস্টেরয়েড’-এর নিঃসরণ কমে যায় এবং ‘এন্ডরফিন’-এর উৎপাদন বাড়ে। এন্ডরফিন ‘হ্যাপি হরমোন’ নামে পরিচিত, যা মনকে ভালো রাখে এবং জীবনে হাসি-খুশি ভাব নিয়ে আসে।
৩. শারীরিক উপকারিতা: ভিতর থেকে খুশি থাকলে তার প্রভাব শরীরেও পড়ে। নিয়মিত মালিশ চুল পড়া কমায়, মাসিক ঋতুচক্র স্বাভাবিক রাখে, রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং ভালো ঘুম হতে সহায়ক হয়। এই সবকটি বিষয় স্বাভাবিক থাকলে শরীর সার্বিকভাবে সুস্থ থাকে।
৪. শ্বাস-প্রশ্বাস ও পেশির শিথিলতা: মাসাজ থেরাপিস্টরা প্রায়শই গভীর শ্বাস নেওয়া ও ধীরে ধীরে তা ছাড়ার পরামর্শ দেন। এটি করার ফলে অক্সিজেন শরীরের প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে পড়ে, যা পেশিগুলিকে শিথিল করতে সাহায্য করে। দৈনন্দিন জীবনের চাপ আমাদের পেশি এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
তবে একটি বিষয় মনে রাখা জরুরি, তেল মালিশের জন্য একজন প্রশিক্ষিত ম্যাসিওরের সাহায্য নেওয়া উচিত। অনভিজ্ঞ কারও দ্বারা করানো মালিশ হিতে বিপরীত ফল দিতে পারে।