রান্নার স্বাদ বাড়াতে দারুণ ভাবে কাজ দেয় কারিপাতা। তবে নিমপাতার মতো দেখতে হওয়ায় এই পাতাকে অনেকে মিষ্টি নিমও বলে থাকেন। ১০০ গ্রাম কারিপাতার মধ্যে থাকে ১৮০ ক্যালোরি শক্তি। এছাড়াও কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, মিনারেল ও নানারকম ভিটামিন থাকে কারিপাতার মধ্যে। শুধুমাত্র স্বাদ ও গন্ধের জন্যই নয়, শরীর সুস্থ রাখতেই প্রকৃতপক্ষে কারিপাতা খাওয়া উচিত। চুলপড়ার সমস্যা, অ্যানিমিয়া, ডায়াবেটিস, স্নায়ুর সমস্যা সবকিছুর সমাধান রয়েছে এই কারিপাতাতেই।
একনজরে দেখে নিন কারিপাতার উপকারিতা-
> প্রতিদিন সকালে একগ্লাস জলের সঙ্গে কয়েকটি টাটকা কারিপাতা চিবিয়ে খান। এর পর ৩০ মিনিট কিছু খাবেন না। ৩০ মিনিট পর ব্রেকফাস্ট করুন, সঙ্গে অবশ্যই খান আমন্ড। কারিপাতার মধ্যে থাকে ভিটামিন সি, ফসফরাস, আয়রন, ক্যালসিয়াম, নিকোটিনিক অ্যাসিড। এইভাবে নিয়মিত খেলে চুলপড়া কমবেই।
> খালি পেটে কারিপাতা খেলে হজমশক্তি বাড়ে। কারণ কারিপাতার মধ্যে যে এনজাইম থাকে তা শরীরে হজমে সাহায্যকারী এনজাইমের ক্ষরণে সাহায্য করে। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। যে কারণে বিভিন্ন রান্নাতেও কারিপাতা ফোড়ন দেওয়া হয়।
> অনেকের অল্প খেলেই বমি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারোর আবার খাবার গিলতে সমস্যা হলে মনে হয় বমি হয়ে যাবে। এই সবই পেটের সমস্যার সঙ্গে যুক্ত। তাই বমি ভাব কমাতে খান কারিপাতা।
> ট্রাইগ্লিসারাইড নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষমতা রাখে কারিপাতা। খাবারের মধ্যে কারিপাতা থাকলে কোলেস্টেরল থাকে নিয়ন্ত্রণে। যার ফলে হার্টের সমস্যার সম্ভাবনাও কমে।
>কারিপাতা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়াও কারিপাতার মধ্যে ফাইবার বেশি থাকায় হজমও ভালো হয়। তাই হঠাৎ করে সুগার বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা আসে না। ইনসুলিন ক্ষরণও ঠিকঠাক থাকে।
> কারিপাতা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। যা আমাদের মস্তিষ্কের খেয়াল রাখে। যাদের অ্যালঝাইমার্স রয়েছে তাদের জন্য কারিপাতা খুবই ভালো। এছাড়াও হঠাৎ করে স্মৃতিশক্তি হারিয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায় বয়স্কদের মধ্যে। তাদের জন্যও খুব ভালো হল এই কারিপাতা।
> কারিপাতার মধ্যে যে সুগন্ধ রয়েছে তা ব্যাকটেরিয়া মারতেও সাহায্য করে। তাই কারিপাতা দিয়ে জল ফুটিয়ে গোসল করলে গায়ের দুর্গন্ধ চলে যায়। অতিরিক্ত ঘাম হয় না। যার ফলে স্কিনও ভালো থাকে।
> কারিপাতায় থাকে ভিটামিন এ। দৃষ্টিশক্তি ভালো করতে যা খুবই সাহায্য করে। এছাড়াও যাদের ছানি পড়ছে বা সেই সংক্রান্ত সমস্যা হয়েছে তারা যদি প্রতিদিন খাবারে ঘি আর কারিপাতা খান তাহলে বেশ ভালো ফল পাবেন।
> কাঁচা কারি পাতা চিবালে ওজন কমে, হজমশক্তি বাড়ে, ডিটক্সিফিকেশন হয়, ভালো কোলেস্টোরেলের মাত্রা বাড়ে। শরীরচর্চার পর ৮ থেকে ১০টা কারিপাতা খেতে পারলে খুবই ভালো।