আধুনিক সমাজে বাড়ছে ‘লিভ-ইন’ সম্পর্ক, দেখে নিন এর সুবিধাগুলো

বর্তমান যুগে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে বিয়ের প্রতি আগ্রহ ক্রমশ কমছে। অনেকেই দাম্পত্য জীবনের জটিলতা এবং সাংসারিক ঝামেলায় জড়াতে চান না। এর পরিবর্তে তারা বেছে নিচ্ছেন বাঁধনহীন জীবন। পশ্চিমা বিশ্বে বহু আগে থেকেই জনপ্রিয় ‘লিভ-ইন’ বা ‘লিভ-টুগেদার’ সম্পর্ক এবার ভারতের শহরাঞ্চলেও দ্রুত প্রসার লাভ করছে। এই ধরনের সম্পর্কের কিছু বিশেষ সুবিধা রয়েছে, যা আধুনিক প্রজন্মের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।

লিভ-ইন সম্পর্কের সুবিধা:

একাকীত্ব দূর করা ও মানসিক সমর্থন: সারাদিন কাজের পর বাড়ি ফিরে যদি সঙ্গীর সঙ্গে কিছুটা সময় কাটানো যায়, তাহলে একাকীত্ব দূর হয়। এতে একদিকে যেমন সম্পর্কের গভীরতা বাড়ে, তেমনই দাম্পত্য জীবনের জটিলতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

সঙ্গীকে যাচাই করার সুযোগ: বিয়ের আগে সঙ্গীর সঙ্গে জীবন কাটানোর জন্য লিভ-ইন একটি দারুণ সুযোগ। এর মাধ্যমে একজন আরেকজনের পছন্দ-অপছন্দ, অভ্যাস এবং জীবনধারার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবেন কিনা তা যাচাই করে নেওয়া যায়।

জটিলতামুক্ত জীবন: লিভ-ইন সম্পর্কে সন্তান বা শ্বশুর-শাশুড়ির মতো সামাজিক এবং পারিবারিক জটিলতা থাকে না। ছুটির দিনগুলোতে একসঙ্গে সিনেমা দেখা, খাবার খাওয়া বা খুনসুটিতে মেতে ওঠা যায় কোনো বাধা ছাড়াই।

স্বাধীন জীবনযাপন: রাতে বাড়ি ফেরার তাড়া থাকে না, বা রাত জেগে ফোনে কথা বলার প্রয়োজন হয় না। সাপ্তাহিক ছুটিতে একসঙ্গে টিভি সিরিজ দেখা বা পার্টি করতেও কোনো বাধা থাকে না।

অর্থনৈতিক সাশ্রয়: ফ্ল্যাটের ভাড়া, খাবার খরচ এবং অন্যান্য দৈনন্দিন খরচ সঙ্গীর সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া যায়। এর ফলে অর্থনৈতিকভাবে অনেকটা সাশ্রয় হয়।

স্বাবলম্বী হওয়া: যারা বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান এবং সবকিছু ভাগ করে নেওয়ার অভ্যাস নেই, তাদের জন্য লিভ-ইন সম্পর্ক একটি ভালো সুযোগ হতে পারে। এর মাধ্যমে একজন ব্যক্তি দৈনন্দিন জীবনের দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়া এবং স্বাবলম্বী হতে শেখেন।

এই কারণে, অনেক যুগল এখন লিভ-ইন সম্পর্ককে একটি আধুনিক এবং বাস্তবসম্মত বিকল্প হিসেবে দেখছেন। তবে এই ধরনের সম্পর্ক বেছে নেওয়ার আগে এর আইনি ও সামাজিক দিকগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy