বাড়িতে বসে অফিসের কাজ করার দিন শেষ হয়ে এলো। খুলতে শুরু করেছে বিভিন্ন অফিস। যারা অনেকদিন পর আবার অফিস শুরু করতে যাচ্ছেন, তাদের সতর্ক থাকতে হবে বেশ কিছু বিষয়ে। সংক্রমণ এড়াতে সব সময় থাকতে হবে সতর্ক, বিশেষ করে অফিসের টয়লেট ব্যবহারের সময়। আগে অফিসে গিয়ে বাথরুমের আয়নায় নিজেকে ঠিকঠাক করে তারপর চেয়ারে এসে বসতেন? সেই অভ্যাস এখন আর চলবে না। আর পাঁচজন সহকর্মীর সঙ্গে বাথরুম শেয়ার করতেই হয়- সেখানে সামাজিক মানবেন কীভাবে? নিজের নিরাপত্তায় বা সুনিশ্চিত করবেন কী করে?
উন্নত দেশগুলো একসঙ্গে অনেকে ব্যবহার করেন এরকম টয়লেটের নকশাতেই কিছু পরিবর্তন আনার কথা ভাবছে। যেমন ধরুন, সব কলে লাগানো থাকবে সেন্সর। খোলা-বন্ধ করার জন্য তাতে হাত দিতে হবে না। লিকুইড সাবানের ডিসপেন্সারও ছোঁয়ার প্রয়োজন পড়বে না। বাথরুমে ঢোকা আর বের হওয়ার দরজাও হবে স্বয়ংক্রিয়। কিন্তু আমাদের দেশে সেসব সম্ভব নয়। কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেবেন?
প্রথমেই বুঝে নিন, বাথরুমে গিয়ে পোশাক পরিবর্তন করা বা সাজগোজ করাটা আর মোটেই নিরাপদ নয়। এর কারণ, সাধারণত বাথরুমগুলো বদ্ধ এবং ছোট হয়। ফলে এরকম জায়গায় ভাইরাস খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজ সারুন। তাই বলে জল পান করা কমাবেন না, তাতে কিন্তু আরও নানান জটিল সমস্যা হতে পারে। দিনে আট থেকে দশ গ্লাস জল পান করতেই হবে। বাথরুমের চাপ এলে তা চাপিয়ে রাখা যাবে না। তাই সঙ্গে আপনার নিজের টিস্যু রোল আর টয়লেট সিট স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখুন।
বাথরুমে ঢোকার দরজার হাতলে সরাসরি হাত দেবেন না। তা টিস্যু দিয়ে ধরুন। কলের মাথাটাও ওইভাবে খুলে নিন, তারপর টিস্যু ফেলে দেবেন। হাত ধুয়ে নিন একবার। এবার কিউবিকলে ঢুকে স্যানিটাইজার ছড়িয়ে টিস্যু দিয়ে টয়লেট সিট মুছে নিন একবার। এরপর ব্যবহার করুন। নিজেকে ধুয়ে নিন ভালো করে। ফ্লাশ করার পর টয়লেট সিট ফের একবার স্যানিটাইজ করে দিন পরের ব্যবহারকারীর জন্য। বেরিয়ে এসে খুব ভালো করে সাবান ও জল দিয়ে হাত ধোয়া প্রয়োজন। তারপর নিজের জায়গায় ফিরে গিয়ে স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে পারেন।
পাবলিক টয়লেটের কোনো সারফেস বা দরজার হাতল নিরাপদ নয়। ব্যবহারের আগে সে কথা মনে রাখবেন। কোথাও সরাসরি হাত দেয়ার দরকার নেই। টিস্যু দিয়ে স্পর্শ করুন সবকিছু। সেইসঙ্গে সঠিক খাবার খান, ভিটামিন সি যেন খাদ্যতালিকায় অবশ্যই থাকে তা দেখবেন। প্রতিদিন বদলান অন্তর্বাস, সুতির অন্তর্বাস ব্যবহার করাও খুব জরুরি অভ্যাস।