করোনা আবহে (Coronavirus) গত দু’বছর ধরে ঘরবন্দি জীবনে মানুষ অভ্যস্ত হয়েছে ঠিকই। তবে কোথাও যেন রাগও বাড়ছে। বিরক্তি বাড়ছে ছোট ছোট কারণেই। আসলে ছোট-বড় ইস্যু থেকেই মনখারাপ। সেখান থেকেই রাগ। তর্ক। কখনও তা থেকেই জন্ম নিচ্ছে চূড়ান্ত হতাশা (Depression)। মনের ভিতরে জমাট বাঁধছে নিম্নচাপ। সর্বনাশা রাগের এফেক্ট মারাত্মক। তথ্য বলছে, করোনা পরিস্থিতিতে কাজ হারানোর ভয় হোক বা ঘরবন্দি জীবন, সাধারণ মানুষের মধ্যে ৪০ শতাংশ মানসিক রোগের বোঝা বেড়েছে। যে কারণে ২০২২ সালের কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক বাজেটেও স্থান পেয়েছে মানসিক স্বাস্থ্য (Mental Health)।
প্রয়োজন প্রফেশনাল হেল্প
রাগের কারণ একাধিক হতে পারে। মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, হতাশা, একাকিত্ব থেকে মনে রাগ জন্মায়। তবে যে কোনও পরিস্থিতিতেই কথা বললে মন হালকা হয়। কিন্তু আজকের স্বার্থপর সময়ে কাকে বলবেন মনের কথা? এমন অনেক কথা থাকে, যা মা-বাবা বা প্রিয়বন্ধুকে বলা যায় না। অথচ সেই কথাগুলো নির্ভয়ে শেয়ার করা যায় কাউন্সেলরকে। অযথা না রেগে সাইকোলজিস্টদের (Psychologist)সাহায্য নিন।
মেডিটেশন জরুরি
বাড়িতে বসে শুধু একা সময় কাটানো নয়। বুদ্ধি করে রাগ কন্ট্রোল করার গোড়ায় গিয়ে মনকে বশে আনার চেষ্টা করুন। দরকার মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন। চারদিকে অনবরত চলতে থাকা নয়েজ থেকে নিজেকে সরিয়ে আনতে এই মেডিটেশনের জুড়ি নেই। তবু যদি রাগ না যায়, তা হলে রয়েছে রিল্যাক্সেশন থেরাপি।
‘লেট গো’ এফেক্ট
নিজেরটাই ঠিক, সামনের লোক ভুল। এই মনোভাব ঠিক নয়। কিছু কিছু জিনিস ভুলে থাকতে শিখুন। লেট গো করতে শিখুন।
রাগের মাথায় কথা কম
কী কী বিষয়ে বা কখন আপনি রেগে যেতে পারেন, সেটা বুঝলেই মুশকিল আসান হতে পারে। রাগ সবার হয়। কারওর কম, কারও বেশি। মনে রাখবেন, যখন রেগে যাচ্ছেন বুঝতে পারবেন, তখন ডিপ ব্রিদিং (Deep Breathing) সাহায্য করে। এক থেকে দশ কাউন্ট করে তার পর নিজের কথা বলুন। না হলে এ-বি-সি মডেল প্রয়োগ করুন। এ অর্থাৎ কোনও কিছু দেখে বা শুনে আর আপনি রাগছেন। বি অর্থাৎ ব্যবহারে কেমন পরিবর্তন আসছে। এবং সি, এর ফলে কী কী হতে পারে। ফাঁকা সময় নিজে এই এ-বি-সি অ্যানালিসিস করলেই সমস্যা অনেকখানি কাটিয়ে উঠতে পারবেন।