সুন্দর এক চিলতে হাসি যেমন ব্যক্তিত্বকে উজ্জ্বল করে, তেমনি সুস্থ দাঁত আমাদের সার্বিক সুস্বাস্থ্যেরও পরিচয় দেয়। কিন্তু বর্তমানের অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস এবং অযত্নের কারণে খুব কম বয়সেই দাঁতের ক্ষয় বা ক্যাভিটির সমস্যায় ভুগছেন বহু মানুষ। দাঁতের যন্ত্রণা যে কতটা অসহ্য হতে পারে, তা ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন।
দাঁতের অকাল মৃত্যু রোধ করতে এবং দাঁতকে লোহার মতো মজবুত রাখতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শগুলো জেনে নিন আজকের প্রতিবেদনে।
১. ভুল পেস্ট ব্যবহারে সাবধান!
আমরা অনেকেই চটকদার বিজ্ঞাপনে মজে সাধারণ পেস্ট কিনি। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, দাঁতের ক্ষয় রোধে ভেষজ উপাদান সমৃদ্ধ পেস্ট অনেক বেশি কার্যকর। পেস্ট কেনার আগে উপাদানের গুণমান যাচাই করে নিন, যা দাঁতের এনামেলকে সুরক্ষা দেবে।
২. ক্যালসিয়ামের ‘ম্যাজিক’ ডায়েট
দাঁতের প্রধান শত্রু হলো ক্যালসিয়ামের অভাব। হাড়ের মতো দাঁতকেও শক্তিশালী রাখতে প্রতিদিনের তালিকায় রাখুন দুধ, দই এবং পনির। এই খাবারগুলো দাঁতের ক্ষয়ে যাওয়া অংশ পুনর্গঠনে সাহায্য করে।
৩. লবণ জলের ম্যাজিক কুলকুচি
দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে এবং মুখের ক্ষতিকর জীবাণু নাশ করতে হালকা গরম জলের সাথে লবণ মিশিয়ে গার্গল বা কুলকুচি করুন। এটি মাড়ির ফোলাভাব কমাতে এবং প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে দুর্দান্ত কাজ করে।
৪. কেন দু’বার ব্রাশ করা বাধ্যতামূলক?
অনেকেই শুধু সকালে ব্রাশ করেন, কিন্তু আসল ক্ষতিটা হয় রাতে। সারাদিন খাওয়ার পর দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা কণাগুলো রাতে জীবাণুর বংশবৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই রাতে ঘুমানোর আগে ব্রাশ করাকে রুটিন বানিয়ে নিন।
৫. চিনির হাত থেকে দাঁত বাঁচান
অতিরিক্ত মিষ্টি, চকোলেট, কোমল পানীয় বা ফাস্টফুড আপনার দাঁতের এনামেলের সবচেয়ে বড় শত্রু। এই খাবারগুলোতে থাকা অ্যাসিড দাঁতের প্রতিরক্ষামূলক স্তর নষ্ট করে দেয়। মিষ্টি খাওয়ার পর অন্তত জল দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন।
৬. মাউথ ফ্রেশনারের ব্যবহার
মুখের দুর্গন্ধ শুধু অস্বস্তিকর নয়, এটি ব্যাক্টেরিয়ার উপস্থিতিও জানান দেয়। দাঁত ব্রাশের পাশাপাশি ভালো মানের মাউথ ফ্রেশনার ব্যবহার করলে মুখ জীবাণুমুক্ত থাকে এবং দাঁতের সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।