দেহের ওজন বৃদ্ধি অনেকের জন্যই বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিচ্ছে। আর ওজন যখন বাড়াবাড়ি রকমের হয়ে যায় তখন এ সমস্যা মারাত্মক হয়ে দেখা দেয়। এটি দূর করতে মাত্রাতিরিক্ত অনুশীলন কিংবা জিনমেশিয়ামে বাড়তি সময় ব্যয় করার প্রয়োজন নেই। সহজ কিছু উপায়েই এ সমস্যা দূর করা যায়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
১. স্থূলতা বা শরীরের অতিরিক্ত ওজনকে একটি রোগ হিসেবে মেনে নেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আপনার যদি এ রোগটি থাকে বা হওয়ার পর্যায়ে থাকে তাহলে তা নিরাময়ের জন্য চেষ্টা করুন। এ চেষ্টাতেই সমস্যার অনেকাংশে সমাধান হতে পারে।
২. আপনার দেহের ওজন বেশি হলে তা যেন আর না বাড়ে সেজন্য সচেতন হোন। এক্ষেত্রে সুস্থ জীবনযাপন হতে পারে একটি ভালো সমাধান।
৩. স্বাস্থ্যকর খাবার খান। খাবারের তালিকায় রাখুন ফলমূল, সবুজ শাক, সবজি, দানাদার ও খোসাযুক্ত খাবার। এড়িয়ে চলুন মিষ্টি, ভাজা-পোড়া, প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেটজাত খাবার। বাড়তি তেল, লবণ, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। খাবারের পাত্রের আকার ছোট রাখুন।
৪. দৈনিক কমপক্ষে ৩০ মিনিট কার্ডিওভাস্কুলার এক্সারসাইজ করুন। এক্ষেত্রে কোনো যন্ত্রপাতির দরকার নেই। জোরে হাঁটা, জগিং করা, দৌড়ানো, সাইকেল চালানো কিংবা সাঁতারের মাধ্যমেই এ ব্যায়াম করা সম্ভব।
৫. চিকিৎসকের যথাযথ পরামর্শ ছাড়া দ্রুত ওজন কমানোর কোনো পদ্ধতি প্রয়োগ করতে যাবেন না। এতে দেহের প্রতি বাড়তি চাপ সৃষ্টি হতে পারে, যাতে আপনি মারাত্মক অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। এর ফলাফলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণের ইচ্ছেও ভেস্তে যেতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
৬. আপনার দেহের ওজন বেশি হলেও তা মানসিক চাপ হিসেবে নেবেন না। সামাজিক চাপে অনেকেরই ওজন বৃদ্ধির এ সমস্যা আরো বেড়ে যায়।
৭. ধূমপান ত্যাগ করুন। অনেক ধূমপায়ীরই ধারণা এতে তাদের দেহের ওজন কমবে। যদিও এ ধারণা ভুল। ধূমপান পরিস্থিতি আরো জটিল করে তুলতে পারে।
৮. যদি খাবার ও শারীরিক অনুশীলনে আপনার সমস্যা সমাধান না হয় তাহলে ব্যারিয়াট্রিক সার্জারির কথা চিন্তা করতে পারেন। এটি একমাত্র চিকিৎসাবিদ্যা সমর্থিত মেদ কমানোর পদ্ধতি। অন্য কোনো পদ্ধতির কথা চিকিৎসাবিদ্যা সমর্থন করে না।
৯. হঠাৎ করে দেহের ওজন কমানো সম্ভব হয় না। এজন্য কিছুদিন ধৈর্য্য ধরে ধীরে ধীরে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হয়। হঠাৎ করে ওজন কমানোর চেষ্টা শুরু করলেই যে ওজন কমে যাবে এমনটা ভাবার কারণ নেই। এজন্য কিছুদিন সময় লাগবেই।bs