লাল আটায় এমন কিছু পুষ্টিগুণ রয়েছে, যা আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দারুণ কাজ করে। তাছাড়া অনেকে প্রধান খাবার হিসেবে ভাত খেলেও এখানে আটার চাহিদাও কম নয়, বিশেষ করে সকালের খাবারে আটার রুটির চাহিদা এখন দিন দিন বাড়ছে। আটা শর্করাজাতীয় খাবার। লাল গমের আটা দিয়ে তৈরি খাবার ভাতের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে। লাল আটা স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিগুণে ভরপুর।
গমের বাইরের যে লাল বা বাদামি আবরণ রয়েছে তাতে অনেক পুষ্টি উপাদান থাকে। লাল আটায় থাকা ম্যাগনেসিয়াম আমাদের শরীরের নানা উপকার করে। লাল আটায় রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও আঁশ। এ ছাড়া লাল আটায় পাওয়া যায় ফলিক এসিড, ফসফরাস, জিংক, কপার, ভিটামিন ‘বি১’, ভিটামিন ‘বি২’ ও ‘বি৩’। লাল আটায় থাকা উপাদান আমাদের হৃদরোগ প্রতিরোধ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। যারা অতিরিক্ত ওজন সমস্যায় ভুগছেন, তারাও নিয়মিত লাল আটার রুটি খেতে পারেন। লাল আটার রুটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। কারণ লাল আটা শরীরে ক্ষতিকর ফ্যাট কমিয়ে উপকারী ফ্যাটের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
লাল আটার খাবারে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকে। খাবার খাওয়ার পর তা কত তাড়াতাড়ি রক্তে শোষিত হয় সেটি নির্ধারণের ইউনিট হচ্ছে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স। বিভিন্ন শর্করাজাতীয় খাবার যেমন—বিস্কুট, কেক, পিত্জা ইত্যাদি খাওয়ার অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। অন্যদিকে লাল আটা রক্তে শর্করার মাত্রা খুব অল্প পরিমাণে বাড়ায়। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের লাল আটার রুটি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
লাল আটার তৈরি খাবার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ফলে তারা রোগবালাইয়ে কম ভোগেন। আটায় থাকা ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট এর পেছনে কাজ করে।
লাল আটার খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায় না। এ কারণে লাল আটার খাবার দীর্ঘ সময় আমাদের পেটে থাকে। ফলে সহজে ক্ষুধাবোধ হয় না। লাল আটায় থাকা ফাইবার বা আঁশ হজমে উপকার করে। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।bs