সত্যিই কি বিয়ের পর প্রেম কমে যায়? সম্পর্কের চিড় চেনার লক্ষণ গুলি জেনেনিন অতিঅবশ্যই

বিয়ের পর কি সত্যিই প্রেম ফিকে হয়ে যায়? আমরা প্রায়শই ভুলে যাই যে, কোনো অনুভূতিই চিরস্থায়ী নয়। মানুষের আবেগ সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়। পরিস্থিতির প্রভাবেও অনুভূতির তীব্রতা কমে যেতে পারে। তাই, “প্রেম কমে যাচ্ছে” এই কথাটি একেবারে ভিত্তিহীন নয়। একসময় যে দুজনের মধ্যে গভীর আকর্ষণ ছিল, সময়ের সাথে সাথে তারা হয়তো সেই অনুভূতি আর খুঁজে পান না। এই কারণেই একে অপরের প্রতি প্রেম কমে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। আসলে, জোর করে কোনো সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয় না।

কিছু লক্ষণ দেখলে বোঝা যেতে পারে যে আপনাদের মধ্যকার প্রেমের অনুভূতি ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাচ্ছে:

কোনো রকম টান অনুভব করছেন না:

যাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন, তাকে যদি আর সহ্য করতে না পারেন, তবে বুঝতে হবে সঙ্গীর প্রতি আপনার আর কোনো আকর্ষণ নেই। এমনটা ঘটলে ধরে নিতে পারেন আপনাদের প্রেমে ফাটল ধরেছে।

সঙ্গীর সঙ্গে আছেন ঠিকই কিন্তু সঙ্গীর মাঝে নেই:

হয়তো আপনারা একই ছাদের নিচে বসবাস করছেন, কিন্তু একে অপরের সাথে তেমন কথা বলছেন না। ফোনের প্রতি আসক্তি সঙ্গীর চেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। এর অর্থ, আপনারা শারীরিকভাবে কাছাকাছি থাকলেও মানসিকভাবে একে অপরের থেকে বহু দূরে অবস্থান করছেন।

শারীরিক সম্পর্কে অনীহা:

যদি একে অপরের প্রতি আকর্ষণ অনুভব না করেন, তাহলে শারীরিক সম্পর্কের প্রতি অনীহা আসা স্বাভাবিক। এর ফলে ধীরে ধীরে প্রেমের বাঁধন আলগা হতে থাকে।

খোঁজ-খবর নেওয়ারও প্রয়োজন মনে করেন না:

“বিয়ে তো হয়েই গেছে, সে তো আমারই”- এমন ধারণা পোষণ করলে এবং সঙ্গীর নিয়মিত খোঁজখবর নেওয়া বন্ধ করে দিলে বুঝবেন আপনাদের প্রেম সত্যিই কমে যাচ্ছে। সম্পর্কের উষ্ণতা বজায় রাখতে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা জরুরি।

সম্পর্ক ভেঙে যাচ্ছে ভেবেও আপনার খারাপ লাগছে না:

যদি দেখেন আপনাদের সম্পর্ক ধীরে ধীরে ভাঙনের দিকে এগোচ্ছে, অথচ আপনার মনে কোনো রকম খারাপ লাগা বা কষ্ট হচ্ছে না, তাহলে বুঝতে হবে এই সম্পর্কের ভিত্তি দুর্বল হয়ে গেছে। দায়িত্বের খাতিরে সম্পর্ক টিকে থাকলেও, সেখানে প্রেমের অভাব অনুভূত হবে।

যদি আপনি সঙ্গীর সাথে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ না করেন, তাহলে সেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা আপনার জন্য বেশ কঠিন হতে পারে। তবে এটাও মনে রাখতে হবে যে, শুধু নিজের কথা ভাবা কোনো সমাধান নয়। যদি আপনাদের প্রেম সত্যিই শেষ হয়ে যায়, তবুও সঙ্গীর প্রতি সম্মান বজায় রাখা এবং সম্পর্কের প্রতি যত্নশীল হওয়া উচিত। কারণ একটি সুস্থ সম্পর্ক পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং সম্মানের উপর ভিত্তি করে টিকে থাকে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy