১) প্রথমত নারী স্বনির্ভর না হলে পুরুষ ধরেই নেই, নারী তার অনুগত। কাজেই আপনার সঙ্গী ভেবে নিতেই পারেন, তিনি যা বলবেন, তার সবটাই আপনি মানতে বাধ্য। একটা সময় এই চাপিয়ে দেওয়া বিষয় মানতে আপনার ভাল লাগবে তো?
২) একটি যথার্থ দাম্পত্যে কোনও একটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রী দুজনেরই মতামতের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু আপনি যদি রোজগার না করেন, তা হলে তিনি ধরে নেবেন সব সিদ্ধান্তই তিনি নিজেই নেবেন। কারণ সংসার খরচের টাকা আসে তাঁর রোজগার থেকেই।
৩) আপনার সঙ্গীর রোজগারে থাকতে থাকতে এক সময় নিজেকে কিন্তু বোঝাও মনে হতে পারে। কারণ আপনার সব শখ-আহ্লাদ পূরণের জন্য তাঁর কাছে বার বার হাত পাততে হবে। সেটা কি একজন নারীর পক্ষে খুব সম্মানের? আর বারবার ইতিবাচক উত্তর পেতে পেতে একদিন যে নেতিবাচক উত্তর পাবেন না, এ রকমও কিন্তু নয়। তখন কিন্তু ভাল লাগবে না।
৪) আপনার সঙ্গী হয়ত মুখে বলবেন, তাঁর রোজগার থাকলেই যথেষ্ট। আপনার আর রোজগার করার দরকার কি? কিন্তু আপনি হয়তো দেখবেন, তিনি সবচেয়ে বেশি সম্মান করেন সেই মহিলাকে, যিনি স্বনির্ভর। কথায়-কথায় সেই প্রসঙ্গ কখনও উঠলে নিজেকে কিন্তু খুব ছোট মনে হবে।
৫) অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা এক ধরনের ব্যক্তিত্ব তৈরি করে। আপনি যদি সেটা না হন, তাহলে আপনার সঙ্গী আপনাকে কিন্তু সে ভাবে গুরুত্ব দেবেন না। অনেক সময়ই দেখা যায়, সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশ বা সম্পর্কে সমস্যা, সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনার রোজগার না থাকলে আপনাকে পরজীবীর মতো থেকে আপনার সঙ্গীর সব অন্যায় মুখ বুজে সহ্য করতে হবে। কাজেই এই ভুল করবেন না।