রাতে যতই ক্লান্তি থাকুক না কেন, ঘুমাতে যাওয়ার আগে চুলের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। কারণ ঘুমের সময় আমাদের চুলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। এই সময়ে চুল পড়া, চুলের আগা ভেঙে যাওয়া, চুলের বৃদ্ধি বন্ধ হওয়া এমনকি চুল পাতলাও হয়ে যেতে পারে।

তাই, রাতে ঘুমানোর আগে একটু সময় বের করে অবশ্যই চুলের যত্ন নিন। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক রাতে চুলের যত্নে যা করা উচিত-

চুল বাঁধুন এবং সঠিক বালিশ ব্যবহার করুন:

অনেকেই চুল খুলে ঘুমান, কিন্তু এটি চুলের ক্ষতি করে। তাই চুল সবসময় বেঁধে ঘুমান। তবে খুব টাইট করে বাঁধবেন না, আলগা করে একটি খোঁপা বা বেণী করে নিতে পারেন। এর পাশাপাশি, আপনার বালিশের কভারের দিকেও খেয়াল রাখা প্রয়োজন। সব সময় সাটিন অথবা সিল্ক দিয়ে তৈরি বালিশের কভার ব্যবহার করুন। এই ধরনের কাপড় চুলের ঘর্ষণ কমায় এবং চুল breakage হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে।

পরিষ্কার চুলে ঘুমান:

কখনই ময়লা চুলে ঘুমিয়ে পড়বেন না। সারাদিন যদি আপনি বাইরে থাকেন তাহলে তো একবারেই না। ময়লা চুলে ঘুমালে তা আপনার স্ক্যাল্পের গোড়াগুলোকে বন্ধ করে দেয়, যার ফলে চুলের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই চুল যদি নোংরা হয়, তাহলে অবশ্যই চুল ধুয়ে নিন। আর যদি শ্যাম্পু করেন, তাহলে একটু আগে তেল লাগিয়ে নিয়ে কিছুক্ষণ রেখে তবেই শ্যাম্পু করুন। এটি আপনার চুলকে শুষ্ক হওয়া থেকে রক্ষা করবে।

ভেজা চুলে শোবেন না:

ভেজা চুলে কখনোই শুয়ে পড়বেন না। চুলটা যতটা সম্ভব শুকিয়ে নিতে হবে। তবে চুল শুকানোর জন্য হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না। গরম বাতাস চুলের ক্ষতি করতে পারে। চুল শুকানোর জন্য ভালো করে তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন এবং তারপরে মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে হালকা করে আঁচড়ান। ভেজা চুলে জোর দিয়ে আঁচড়ালে তা চুলের ক্ষতি করে। তাড়াহুড়ো থাকলে সামান্য ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।

জট ছাড়িয়ে নিন:

ঘুমোতে যাওয়ার আগে মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে ভালো করে চুলের জট ছাড়িয়ে নিন। এর ফলে আপনার চুলে দিনের বেলায় জমা হওয়া বিভিন্ন ময়লা এবং রাসায়নিক অনেকটাই দূর হয়ে যাবে। জট ছাড়ানো থাকলে রাতে ঘুমের সময় চুল টানাটানি করবে না এবং breakage-এর ঝুঁকি কমবে।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করুন:

জট ছাড়ানো হয়ে গেলে একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল কেটে নিয়ে সেটি মাথার স্ক্যাল্পে এবং চুলে লাগান। হালকা হাতে মাসাজ করুন। ভিটামিন ই চুল পড়া, শুষ্ক ও পাতলা চুলের জন্য খুব ভালো কাজ করে। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুলের স্বাস্থ্য ফেরাতে সাহায্য করে।

এই সহজ টিপসগুলো মেনে চললে আপনি আপনার চুলকে রাতেও সুরক্ষিত রাখতে পারবেন এবং সুন্দর, স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল পেতে পারেন। সামান্য সময় বের করে চুলের যত্ন নেওয়া আপনার চুলের জন্য দীর্ঘমেয়াদী উপকার বয়ে আনবে।