মাছ হিসেবে তেলাপিয়া এখন খুবই জনপ্রিয়। এর কারণ হলো, এই মাছটি দামে সস্তা, রান্না করা সহজ এবং এর কাঁটা কম। তাই এখন ঘরে ঘরেই এই মাছ রান্না চলছে দেদার। কিন্তু, প্রকৃতপক্ষে এই মাছটি না খাওয়াই উত্তম। কারণ, মাছটি পরোক্ষভাবে নানা প্রাণঘাতী রোগের কারণ হতে পারে।
চাহিদা বেশি বলে তেলাপিয়া এখন খামারে চাষ করা হয়। একেকটা খামারে বিপুল মাছ চাষ করা হয়ে থাকে। কিন্তু, এদের খাবার হিসেবে বাজারের বিক্রি হওয়া কোনো মাছের খাবার দেওয়া হয় না। খাবার হিসেবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যা দেওয়া হয় তা হলো, হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা। এই খাবার খেয়ে রোগজীবাণু শরীরে বয়ে বেড়ায় তেলাপিয়া। আর ওই খাবার খাওয়া এসব খামারের তেলাপিয়া খেলে হৃদরোগ, পক্ষাঘাত এমনকি হাপানিও হতে পারে। শুধু কি তাই, এসব তেলাপিয়া খাওয়া মানেই হার্ট অ্যাটাকের পথ সুগম করা।
এ ছাড়া এতে প্রোটিনের মাত্রা খুব কম থাকে। এদের শরীরে ডিবুটাইলিন নামের এক প্রকার কেমিক্যাল জমা হয়। আর এই ডিবুটাইলিন হাপানি, মেদ ও অ্যালার্জির জন্ম দিয়ে থাকে। এ ছাড়া এদের শরীরে ডাই-অক্সিন থাকে। আর মুক্ত জলের তেলাপিয়ার চেয়ে খামারের তেলাপিয়ার শরীরে এই ডাইঅক্সিনের মাত্রা ১১ গুণ বেশি থাকে।
এই প্রক্রিয়ায় চাষ করা রুই মাছ খাওয়ার ক্ষেত্রেও রয়েছে সতর্কবাণী। গবেষকরা বলেছেন, খামারে তেলাপিয়ার মতোই একই পদ্ধতিতে রুই মাছ চাষের ঘটনাও ঘটছে। আর ওই রুই মাছ মানবদেহে ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। যে কারণে গবেষকরা হোটেলে খাওয়ার সময় কিংবা বাজার থেকে কেনার সময় জিজ্ঞেস করে কিনতে বলেছেন যে, এটা কি মুক্ত জলের তেলাপিয়া নাকি খামারের।