সাধারণত বয়স্ক ব্যক্তিরাই গাঁটের ব্যথার সমস্যায় বেশি ভোগেন। তবে যে কোনো বয়সের মানুষের মধ্যেই এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। গাঁটের ব্যথার কারণে হাঁটাচলার স্বাভাবিক গতি কমে আসে এবং কর্মদক্ষতাও হ্রাস পায়। এই ব্যথাকে অবহেলা না করে শুরু থেকেই সতর্ক হওয়া ভীষণ জরুরি। এই পরিস্থিতিতে জীবনযাপন থেকে শুরু করে খাদ্যাভ্যাসেও অনেকটা পরিবর্তন আনতে হয়। অনেক ক্ষেত্রেই খাদ্যাভ্যাসের ভুলত্রুটির কারণে এই সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।
তাহলে জেনে নেওয়া যাক, গাঁটের ব্যথায় খাদ্যাভ্যাসে কী কী পরিবর্তন আনা উচিত:
দই, ছাঁচ, আচার এড়িয়ে চলুন:
দই, ছাঁচ, আচার ইত্যাদি খাবার প্রোবায়োটিকের ভালো উৎস। এই খাদ্যগুলি শরীরের কর্টিসলের মাত্রা কমায়, ফলে অবসাদ কমে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। তবে যেকোনো ধরনের ব্যথায় ভুগলে এই ধরনের খাবার না খাওয়াই ভালো। কারণ এগুলি গাঁটের ব্যথা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
মিষ্টি জাতীয় খাবার ত্যাগ করুন:
মিষ্টি শরীরের জন্য একেবারেই ভালো নয়। মিষ্টি খেলে শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালোরি প্রবেশ করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। যেকোনো মিষ্টি জাতীয় খাবার গাঁটের ব্যথার সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই এই ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকুন।
ফাইবার বাদ দেওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন:
সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়া অপরিহার্য। খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার না থাকলে গাঁটের ব্যথা আরও বাড়তে পারে। তাই আপনার প্রতিদিনের খাবারে যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার রাখুন।
প্রক্রিয়াজাত খাবারের ওপর নির্ভরতা কমান:
প্রক্রিয়াজাত খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এই ধরনের খাবার দীর্ঘ দিন ভালো রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও এ রকম খাবারে অতিরিক্ত মাত্রায় নুন ও চিনি ব্যবহার করা হয়। গাঁটের ব্যথার সমস্যা থাকলে এই খাবার এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ।
অতিরিক্ত মদ্যপান ত্যাগ করুন:
মদ্যপান গাঁটের ব্যথার সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই যারা এই সমস্যায় ভুগছেন, তাদের মদ্যপান না করাই শ্রেয়।
অত্যধিক ভাজাপোড়া বন্ধ করুন:
অত্যধিক ভাজাভুজি খেলে ওজন বাড়বেই। আর ওজন বেড়ে গেলে শরীরের নানা রোগব্যাধি বাসা বাঁধে। বিশেষ করে ওজন বাড়লে হাঁটুর উপরে চাপ পড়ে, ফলে গাঁটের ব্যথা আরও তীব্র হতে পারে। তাই ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন।
গাঁটের ব্যথা একটি কষ্টদায়ক সমস্যা। সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে এই ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তাই উপরোক্ত খাবারগুলো এড়িয়ে চলুন এবং সুস্থ জীবনযাপন করুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।