গর্ভাবস্থা প্রতিটি মায়ের জন্য অত্যন্ত স্পর্শকাতর সময়। এই সময় সামান্য ভুল বা ভুল ধারণা মা ও গর্ভস্থ শিশুর জন্য বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ মার্থা হাজরার মতে, হবু মায়েদের মধ্যে প্রচলিত কিছু ভুল ধারণা উদ্বেগ বাড়ায় এবং শারীরিক জটিলতা তৈরি করে।
❌ গর্ভাবস্থায় যেসব ভুলে মা ও শিশুর জীবনঝুঁকি বাড়ে:
| ভুল ধারণা | বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন |
| ভুল ১: খেতে হবে দু’জনের মাপে | সঠিক নয়। প্রথম তিন মাস আগের মতোই পুষ্টিকর খাবার খান। তিন মাস পর থেকে মাত্র ২৫০–৩০০ ক্যালোরি বেশি খেতে হবে (যেমন: একটা কলা, ছোট এক বাটি সিরিয়াল আর দুধ)। অতিরিক্ত খাবারে মায়ের ওজন বেড়ে ডায়াবেটিস ও প্রেশার বাড়ে। |
| ভুল ২: ছোটখাটো ওষুধ নিজেই খাওয়া | কখনোই নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া যাবে না। এমনকি বদহজম বা কোষ্ঠকাঠিন্যের ওষুধও নয়। ভুল ওষুধ খেলে শিশুর জন্মগত ত্রুটি হতে পারে। |
| ভুল ৩: কম ঘুমিয়ে কাজ সেরে রাখা | খুবই ক্ষতিকর। গর্ভাবস্থায় শরীর ক্লান্ত থাকে, তার সঙ্গে কম ঘুম যুক্ত হলে স্বাস্থ্য ভাঙতে বাধ্য। সুস্থ থাকতে প্রতিদিন অন্তত ৭–৮ ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি। |
| ভুল ৪: সারাক্ষণ শুয়ে–বসে থাকা | একেবারেই ভুল। দিনে অন্তত আধাঘণ্টা হালকা ব্যায়াম করুন। নড়াচড়া করলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে, ডায়াবেটিস-হাইপ্রেশার কমবে এবং গর্ভস্থ সন্তানের বৃদ্ধিও ভালো হবে। হাঁটা বা যোগ ব্যায়াম প্রসবের জন্য শরীরকে প্রস্তুত করে। (তবে খুব ভারী বা পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলুন)। |
| ভুল ৫: শুধু পছন্দসই খাবার খাওয়া | নিয়ন্ত্রণ জরুরি। মিষ্টি, ভাজাভুজি বা মসলাদার খাবার কম খেতে হবে, কারণ এতে অতিরিক্ত ওজন ও অপুষ্টি হতে পারে। মিষ্টির ইচ্ছে হলে কিসমিস, খেজুর, ফল এবং নোনতা খাওয়ার ইচ্ছে হলে বাদাম, কাজু, পেস্তা খান। |
| ভুল ৬: অ্যান্টিনেটাল ক্লাসে যাওয়ার দরকার নেই | অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অ্যান্টিনেটাল ক্লাসে প্রসবের পর কীভাবে চলবেন, ব্রেস্ট ফিডিং, সঠিক খাবার ও ব্যায়াম সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেওয়া হয়, যা প্রসব পরবর্তী জীবনে খুব কাজে আসে। |