ফল খাওয়া যে স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো, সেটা আমরা সবাই জানি৷ কিন্তু অফিসের লাঞ্চে বা বাচ্চার টিফিনবক্সে কাটা ফল প্যাক করতে গিয়ে নিজেদের ভুরুই কুঁচকে যায়৷ আমাদের দেশ গ্রীষ্মপ্রধান, তাই ফল বেশিক্ষণ কেটে রাখলেই তার মধ্যে ব্যাকটেরিয়া জন্মায় এবং দ্রুত গতিতে বংশবিস্তার করে৷ আর কোনওভাবে তা যদি খোলা পড়ে থাকে, তা হলেও মাছি বা পোকামাকড় বংশবৃদ্ধি করে৷ তা ছাড়া কাটা ফল থেকে রস বেরিয়ে যায়, অক্সিজেনের সংস্পর্শে এলেই তার গায়ে কালো রং ধরে, দেখতে খারাপ হয়ে যায়৷ আম, আপেল, কিউয়ি, কমলালেবু বা আঙুরের মতো ফল গোটা খাওয়া যায়, কিন্তু তরমুজ, আনারস, পেঁপে তো এক ধাক্কায় ফুরোয় না৷ ফল দিয়ে তৈরি করা রায়তা, কাস্টার্ড বা স্যালাড পরিবেশন করতে গেলেও একই সমস্যা হয়৷ এই পরিস্থিতিতে কীভাবে ফলটাকে স্টোর করবেন?
জানেন কী, বাড়িতে হাতের কাছেই এমন কয়েকটি উপাদান থাকে, যা দিয়ে কাটা ফল দীর্ঘক্ষণ ভালো রাখা সম্ভব?
লেবুর রস
ফল ভালো থাকবে: ছয় থেকে আট ঘণ্টা
কাটা ফলে লেবুর রস মাখিয়ে রাখুন৷ লেবুর অ্যাসিড অক্সিডেশন ঠেকিয়ে রাখতে সক্ষম, ফল থেকে রসও বেরিয়ে যাবে না৷ এক বাটি কাটা ফলের জন্য একটি মাঝারি আকারের পাতিলেবুর রস যথেষ্ট৷ ফলের উপর লেবু নিংড়ে হালকা হাতে গায়ে মাখিয়ে নিন৷ একসঙ্গে বিভিন্ন ফলের টুকরো না মিশিয়ে আলাদা আলাদা করে রাখুন, বেশিক্ষণ ভালো থাকবে৷ যে সব ফল এমনিতেই টক, তার উপর বেশি লেবুর রস ছাড়ানোরও দরকার নেই৷ একবার লেবুর রস মাখানো হয়ে গেলে ফল ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখুন৷ একটা চাপা দিয়ে রাখবেন, তা হলে ফলে অন্য খাবারের গন্ধ হবে না৷
ক্লিং ফিল্ম বা অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল
ফল ভালো থাকবে: তিন থেকে চার ঘণ্টা
যাঁরা বাড়তি টকভাব অপছন্দ করেন, তাঁদের জন্য আদর্শ ক্লিং ফিল্ম, এয়ারটাইট পাউচ বা অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল৷ অবশ্যই প্যাকিংয়ের উপর কয়েকটি ফুটো করে দেবেন এবং ফ্রিজের মধ্যে রাখবেন৷ তবে এতে অক্সিডেশনের আশঙ্কা থাকে, ফলে ফল কালো হয়ে যেতে পারে৷
বরফঠান্ডা জল
ফল ভালো থাকবে: তিন থেকে চার ঘণ্টা
বরফঠান্ডা জলে আইসকিউবসহ ফলগুলো ফ্রিজে রাখুন৷ তবে জলে ডুবে থাকার কারণে ফলের স্বাদ কিন্তু একটু জোলো হয়ে যেতে পারে।
সাইট্রিক অ্যাসিড পাউডার
ফল ভালো থাকবে: দু’ থেকে তিন ঘণ্টা
ছানা কাটানোর জন্য সাইট্রিক অ্যাসিড পাউডার থাকলে সেটাও ফলে মাখিয়ে রাখতে পারেন৷ লেবুর মতোই কাজ করবে৷TS