আপনার শরীরে কোলেস্টেরল বাড়ছে না তো? দেখেনিন আজকেই

অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা এবং খাদ্যাভ্যাস স্বাস্থ্য সমস্যার অন্যতম কারণ। যার ফলে বিভিন্ন ধরনের রোগ অজান্তেই শরীরে বাসা বাঁধছে। আর এই ক্ষতিকারক রোগগুলির মধ্যে অন্যতম হল শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া। তবে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে কেবলমাত্র হার্ট এবং রক্তনালীর ক্ষতিতেই থেমে থাকে না, এটি পায়ের ক্ষেত্রেও মারাত্মকভাবে ক্ষতিকর।

পায়ের যন্ত্রণা: পায়ের ধমনীগুলি আটকে থাকলে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পায়ের নীচের অংশে ঠিকভাবে পৌঁছায় না। যার ফলে পা ভারী এবং ক্লান্ত অনুভব হতে পারে। উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা আছে এমন অনেকেই পায়ের নিচের দিকটায় জ্বালা যন্ত্রণা হওয়ার অভিযোগ করে থাকেন। সামান্য হাঁটলেই পায়ে অসম্ভব যন্ত্রণার অনুভূতি হয়ে থাকে।

পায়ে খিঁচুনি ধরা: ঘুমানোর সময় পায়ে তীব্র খিঁচুনি ধরা, শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধির পাওয়ার অন্যতম লক্ষণ। এটি নিম্ন অঙ্গের ধমনীগুলিকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই খিঁচুনি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, গোড়ালি, পায়ের মাংসপেশী অথবা পায়ের আঙুলে অনুভূত হয়। বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর সময় অবস্থা আরও খারাপ হয়। খিঁচুনি থেকে স্বস্তি পেতে, বসে থাকুন কিংবা কিছুক্ষণ পা ঝুলিয়ে রাখুন।

ত্বক এবং নখের রঙ পরিবর্তন করে: পায়ের রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো না হলে, পায়ের নখ এবং ত্বকের রঙ পরিবর্তন করতে পারে। এর মূল কারণ হল পুষ্টি এবং অক্সিজেন বহনকারী রক্তের প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে কোষগুলি সঠিকভাবে পুষ্টি পায় না। ফলে পায়ের ত্বক চকচকে ও টানটান হয় এবং পায়ের নখগুলিও পুরু হতে পারে, ধীর গতিতে বৃদ্ধি পেতে পারে।

ক্ষত নিরাময় হতে না চাওয়া: কোলেস্টেরলের অন্যতম গুরুতর লক্ষণ হলো ক্ষত নিরাময় হতে না চাওয়া। শরীরে অত্যাধিক পরিমাণে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে ইস্কেমিক আলসার হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। এই আলসারগুলি বাদামি কিংবা কালো বর্ণের হতে পারে, যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক।

অসাড়তা বা দুর্বলতা: উচ্চ কোলেস্টেরলের ফলে অনেকেরই পায়ে অসাড় ভাব কিংবা দুর্বলতার অনুভূতি হতে পারে। এই ধরনের উপসর্গ গুলি কেবলমাত্র হাঁটাচলার পরেই নয়, বিশ্রাম নেওয়ার সময়ও অনুভব করা যেতে পারে।

পায়ের পাতা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া: শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে শীতকালের মতো সারা বছরই এমনকি গ্রীষ্মকালেও পায়ের পাতা ঠান্ডা থাকতে পারে। আপনারও যদি পায়ের পাতা ঠান্ডা হওয়ার প্রবণতা থাকে, তাহলে উপেক্ষা না করে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।bs

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy