বহু গুণে গুণান্বিত এই যাদুকরী অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী। ত্বকে, চুলে এর কার্যকরী গল্প যেনো কখনই শেষ হবার নয়। তবে শুধু এসব কিছুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় অ্যালোভেরার ব্যবহার। কারণ এর রয়েছে আরও নানা গুনাগুণ।
(১) জ্বালাপোড়া: ত্বকের যেকোনো ধরণের জ্বালাপোড়া দূর করতে সক্ষম অ্যালোভেরা। ক্ষতস্থানে দিনে তিনবার করে অ্যালোভেরা জেল লাগালে জ্বালাপোড়া সেরে যায়। এমনকি সূর্যের অতিরিক্ত তাপের কারণেও ত্বকের মাঝে অনেক জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে। ত্বক খারাপ হতে থাকে দিনের পর দিন। ঘর থেকে বের হবার আগে প্রতিদিন অ্যালোভেরা সংবলিত ভালো কোনো সানস্ক্রিন ত্বকে লাগিয়ে নিতে হবে।
(২) ক্ষত: শরীরে খুব বড় ধরণের কেটে না গেলে এবং ক্ষত যদি স্বাভাবিক হয়ে থাকে, রক্তক্ষরণ খুব বেশি পরিমাণে না হলে তাহলে অ্যালোভেরা জেল ক্ষত সাড়াতে যথেষ্ট কার্যকর। অ্যালোভেরা ক্ষতস্থান দ্রুত সাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি দাগ হতে দেয় না।
(৩) শুষ্ক ত্বক: ত্বক খুব তাড়াতাড়ি অ্যালোভেরা জেল শুষে নেয়। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে অ্যালোভেরা। সেই সাথে রুক্ষ এবং শুষ্ক ত্বকের জন্য শ্রেয়। স্নানের পরে এমন কোনো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিৎ যাতে অ্যালোভেরা রয়েছে। তাহলে ত্বক আর রুক্ষ হয় না।
(৪) ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা: নাকের যেকোনো ধরনের বড় সমস্যা ছাড়া, সাধারণ যেকোনো ঠাণ্ডার সমস্যায় অ্যালোভেরা যাদুকরী কাজ করে। অনেক সময় সর্দি-কাশির কারণে গলা ব্যাথা হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে প্রতিদিন অ্যালোভেরা জেল গলায় ম্যাসেজ করলে আরাম পাওয়া যায়। ব্যাথা না যাওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন এই কাজ করতে হবে।bs