সব মানুষই আক্কেল দাঁত ওঠার সময় ব্যথা ও যন্ত্রণায় কাবু হয়ে পড়েন। আক্কেল দাঁত ওঠার ব্যথা সহ্য করতে না পেরে অনেকেই ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকের ক্ষেত্রেই এই দাঁত ওঠার সময় অস্ত্রোপচার করার প্রয়োজন হয়। আক্কেল দাঁত আসলে কী? কেনই বা এই দাঁত ওঠার সময় এতো ব্যথা হয়?
মুখের শেষ সীমানায় দুই পাশের উপর ও নিচের চারটি দাঁতকে বলা হয় আক্কেল দাঁত। সাধারণত ১৮-২৫ বছররের মধ্যেই আক্কেল দাঁত ওঠে।
যাদের মুখে ৩২টি দাঁতের জায়গা থাকে না তাদের আক্কেল দাঁত ওঠার সময় প্রচণ্ড ব্যথা হয়। কারণ দাঁত বের হওয়ার জায়গা পায় না। ফলে প্রচণ্ড ব্যথা হয় ও ফুলে যায় মাড়ির স্থানটি।
ফোলাভাব এতোটা মারাত্মক হয় যে, মুখের বাইরে থেকেও স্পষ্ট হয় ফোলাভাব। শুধু ওষুধ খেয়ে নয় বরং ঘরোয়া উপায়েও আক্কেল দাঁতের ব্যথা কমানো যায়। জেনে নিন করণীয়-
>> ঘরে ভিনেগার থাকলে এক চা চামচ ভিনেগারের সঙ্গে সমপরিমাণ জল মিশিয়ে নিন। এর মধ্যে একটি তুলো ভিজিয়ে আক্কেল মাড়ির স্থানে দাঁত দিয়ে চেপে ধরে রাখুন। দেখবেন দ্রুত ব্যথা কমে গেছে। ব্যথা না কমা পর্যন্ত এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
>> সবার রান্নাঘরেই লবঙ্গ থাকে। আক্কেল দাঁতের ব্যথা কমাতে একটি লবঙ্গ দাঁত দিয়ে চেপে ধরে রাখুন। চিবিয়ে ফেলবেন না। এতে দাঁতের যে কোনো ব্যথা মুহূর্তেই সেরে যায়।
>> দাঁতের প্রচণ্ড ব্যথায় মুখের উপর থেকেই ঠান্ডা বা গরম সেঁক দিন। দেখবেন দ্রুত কমে যাবে ব্যথা।
>> অবিশ্বাস্য হলেও সত্যিই যে, পেঁয়াজ দিয়েও কমানো যায় আক্কেল দাঁতের ব্যথা। এজন্য এক টুকরো পেঁয়াজ ব্যথার স্থানে রেখে দাঁত দিয়ে চেপে ধরুন। পেঁয়াজের রস ব্যথা কমাবে।
>> ব্যথা কমাতে বেকিং সোডাও দুর্দান্ত উপকারী। এজন্য একটি তুলার বল জলে ভিজিয়ে বেকিং সোডা মাখিয়ে নিন। এবার সেই তুলা আক্কেল দাঁতের উপরে রাখুন। ব্যথা কমতে শুরু করবে।
>> পেয়ারা গাছের কচিপাতা জলে সেদ্ধ করে নিন। ওই পাতা আক্কেল দাঁতের গোড়ায় কিছুক্ষণ রেখে দিলেই ব্যথা কমবে।
>> অনেক সময়ে দাঁতের গোড়ায় সংক্রমণ হলেও এ ধরনের ব্যথা হয়। সেক্ষেত্রে হালকা গরম জলে লবণ মিশিয়ে গার্গল বা কুলকুচি করুন। এই পদ্ধতি মুখ ও গলার যে কোনো ব্যথা কমানোর কার্যকরী কৌশল।