রাত জাগা কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যকর কিছু টিপস, জানুন একনজরে

আধুনিক বিশ্বে দিন-রাত নির্বিশেষে কাজ করা একটি স্বাভাবিক চিত্র। অনেকেই রাতের শিফটে নিয়মিত কাজ করেন, আবার ফ্রিল্যান্সারদের আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টদের সঙ্গে কাজ করার জন্য রাতে জেগে থাকতে হয়। তবে আমাদের শরীর মূলত দিনের বেলা কাজ করা এবং রাতে ঘুমানোর জন্য তৈরি। তাই রাতের শিফটে কাজ করলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে, যার মধ্যে অন্যতম হল ওজন বৃদ্ধি। যারা রাত জেগে কাজ করেন, তাদের খাবারের বিষয়ে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি।

মার্কিন স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট লাইফস্টাইল ডায়টিশিয়ানের তথ্য অনুযায়ী, রাত জেগে কাজ করলে কীভাবে খাবার খাওয়া উচিত সে বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হয়েছে। এক্ষেত্রে দিনের মোট ক্যালরিকে ভাগ করে সঠিক সময়ে গ্রহণ করাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রধান উপায়।

রাত জাগলে যেসব খাবার গ্রহণ করা উচিত:

বাদাম: রাতে কাজ করার সময় ক্ষুধা লাগলে অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে বাদাম খাওয়া যেতে পারে। আখরোট বা অন্যান্য বাদাম স্বাস্থ্যকর এবং ওজন বাড়াতে সহায়ক নয়।
ফল ও সবজি: রাতের শিফটে কর্মরত ব্যক্তিদের খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণে তাজা ফল ও সবজি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। মৌসুমি ফল এবং ফলের জুস খাওয়া যেতে পারে। বিভিন্ন ধরনের সালাদ, শুকনো বাদাম, হোলগ্রেইন ব্রেড, সবজি ও ডিম সেদ্ধ সালাদ খুবই উপকারী।
ফাইবার ও প্রোটিন: যারা বিকেল ৪টা বা ৫টায় দিনের কাজ শুরু করেন এবং রাত ১টা বা ২টা পর্যন্ত জেগে থাকেন, তাদের রাত ৮টার মধ্যে রাতের খাবার সেরে নেওয়া উচিত। রাতের খাবার হালকা হওয়া বাঞ্ছনীয়, যাতে সহজে হজম হয় এবং ঘুমের ব্যাঘাত না ঘটে। খাবারে বাদামি চালের ভাত ও সবজি, ডাল ও মুরগি রাখা যেতে পারে। রাতের খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন ও ফাইবার থাকা জরুরি। প্রোটিন পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে এবং ঘুমের প্রবণতা কমায়।
স্যুপ: রাত জেগে কাজ করার সময় স্বাস্থ্যকর স্যুপ একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। সবজি বা মাংসের তৈরি স্যুপ শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এটি কম ক্যালোরির খাবার হলেও প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে এবং পরিপাকতন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।
রাত জাগলে যেসব খাবার পরিহার করা উচিত:

তেলজাতীয় খাবার: রাতে তেলযুক্ত ভাজাপোড়া খাবার খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে এবং ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে অম্লতা ও গ্যাসের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
ক্যাফেইন: রাতে জেগে থাকার জন্য অনেকেই অতিরিক্ত কফি পান করেন। তবে অতিরিক্ত ক্যাফেইন শরীরের জন্য ক্ষতিকর। ঘুমের ভাব এলে বা কাজের জড়তা অনুভব করলে শরীরকে আর্দ্র রাখা জরুরি। প্রতি আধ ঘণ্টা অন্তর জল বা ফলের জুস পান করা যেতে পারে।
সুতরাং, রাত জেগে কাজ করলে সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিহার করে রাতের শিফটে কর্মরত ব্যক্তিরাও সুস্থ থাকতে পারেন।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy